খুলনা

খুলনার মরিয়মের মাকে ফরিদপুর থেকে জীবিত উদ্ধার

খুলনা নগরের দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা এলাকা থেকে নিখোঁজ রহিমা বেগমকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিখোঁজের ২৯ দিন পর শনিবার ফরিদপুরের বোয়ালমারীর এক গ্রামের একটি বাড়ি থেকে রহিমা বেগমকে উদ্ধার করা হয়।

শনিবার রাতে মামলার প্রথম তদন্তকারি কর্মকর্তা দৌলতপুর থানার এস আই লুৎফুল হায়দার এ খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রহিমা খাতুন নিজেই স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে ছিলেন।

তিনি আরও জানান, নগর পুলিশের একটি দল তাঁকে নিয়ে খুলনার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তিনি কিছু বলেননি। তবে পরে সব জানা যাবে।

রহিমা বেগমের (৫২) মেয়ে মরিয়ম মান্নান তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন পুলিশের পক্ষ থেকে ফোন করে তাঁর মাকে উদ্ধার করার কথা জানানো হয়েছে।

গত ২৭ আগস্ট রাত ১০টার দিকে খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা উত্তর বণিকপাড়া এলাকার বাসার উঠানের নলকূপে পানি আনতে যান রহিমা বেগম। এর পর থেকে তিনি নিখোঁজ।

নলকূপের পাশে তাঁদের মায়ের জুতা, ওড়না ও পানির পাত্র পড়ে থাকলেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এ ঘটনায় ওই রাতেই রহিমার ছেলে দৌলতপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

পরদিন তাঁর মেয়ে আদুরী আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় অপহরণ মামলা করেন। এ ছাড়া বিষয়টি র্যাবকেও জানানো হয়।

এ মামলায় ছয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মায়ের সন্ধান চেয়ে গেলো ২৮ দিনে ঢাকায় মানববন্ধনের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে দেন-দরবার করে আসছিলেন সন্তানেরা।

এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার রাতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার বওলা গ্রামের ঝোপ থেকে উদ্ধার হওয়া লাশটি নিজের মায়ের বলে দাবি করেছিলেন মরিয়ম মান্নান।

‘লাশ শনাক্তে’ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে তিনি ফুলপুর থানায় যান। এ সময় মরিয়ম লাশটি তাঁর মায়ের দাবি করে নিয়ে যেতে চান।

সেখানে লাশের পরিহিত কাপড় দেখেন। এরপর মরিয়ম দাবি করেন, লাশটি তাঁর মায়ের। পরে মরিয়ম মান্নান ফুলপুর থানায় ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন করেন। এই ঘটনার ২৪ ঘন্টা পার হবার আগেই রহিমা বেগমকে জীবিত উদ্ধার করা হলো।

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এছাড়াও পরীক্ষা করুন
Close
Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker