সুন্দরবনে মাছের অভয়ারণ্য ঝাপসির খাল থেকে বিষ দিয়ে মাছ ধরার সময়ে ১২ জেলে আটক।
সুন্দরবনে দীর্ঘদিন ধরেই বিষ দিয়ে মাছ ধরা হচ্ছে। মাছের অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষিত ১৮টি খালসহ বিভিন্ন খালে সুযোগ পেলেই অধিক লাভের আশায় বিষ দিয়ে মাছ শিকার হচ্ছে। এতে ধ্বংস হচ্ছে গোটা সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য। এমন খবর একাত্তর টেলিভিশনে প্রচারিত হয় তথ্য-প্রমাণসহ। এরপরই র্যাব-৬ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে। নিয়োগ করে সোর্স।
র্যাবের একটি টিম ছদ্মবেশে টানা দুইদিন সুন্দরবন ঘেঁষা দাকোপ উপজেলার কালাবগি গ্রামে অবস্থান করে। এক পর্যায়ে একটি চোরাশিকারি তথা বিষ দিয়ে মাছ ধরার একটি জেলে চক্রের সন্ধান পেয়ে তাদের সঙ্গে মিশে যায় ছদ্মবেশে থাকা র্যাবের দলটি। তারা কালাবগি থেকে শুরু করে ঝাপসির খাল পর্যন্ত যান। পরে হাতে-নাতে বিষসহ গ্রেপ্তার করা হয় জেলেদের।
র্যাব -৬ এর অধিনায়ক মোস্তাক আহম্মেদ জানান, সুন্দরবনের জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় র্যাব সার্বক্ষণিক কাজ করছে। যারা বিষ দিয়ে মাছ ধরে সুন্দরবনের জীব-বৈচিত্র্য ধ্বংস করছে তারা কেউ রেহাই পাবেনা।
র্যাব অধিনায়ক বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সুন্দরবনের ঝাপসির খাল থেকে ১২ জনকে জেলেকে পাঁচটি নৌকাসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। সুন্দরবনের ভেতরে টানা দুইদিন ধরে অভিযান চালিয়ে শুক্রবার ভোরে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।
পাঁচটি নৌকা ছাড়াও তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় দশ বোতল বিষ, চারটি জাল এবং বিষ দিয়ে ধরা চারশ’ কেজি মাছ।
গ্রেপ্তার হওয়া ১২ জেলে দাকোপ উপজেলার সুতারখালী ইউনিয়নের কালাবগি গ্রামের বাসিন্দা।
তারা হলেন- সাদ্দাম বৈদ্য, শফিকুল বৈদ্য, জাকির হোসেন, খায়রুল মোড়ল, সালাম গাজী, বাচ্চু সানা, হাই সরদার, নাজমুল সরদার, শাজাহান শেখ, সালাম সানা, একরামুল সরদার এবং আবুল হোসেন গাজী।
ঝাপসির খালটি সুন্দরবনে মাছের অভায়াশ্রম হিসেবে ঘোষিত ১৮টি নদী খালের মধ্যে একটি। এসব অভয়াশ্রমে সারা বছরই মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বন বিভাগের। তবে জেলেদের কাছ থেকে অবৈধ অর্থ নিয়ে অসাধু বন-কর্মীরা এসব নিষিদ্ধ খালে বিষ দিয়ে মাছ ধরার সুযোগ দেয় জেলেদের। বনবিভাগের স্থানীয় কর্মীদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থাসহ স্থানীয় এলাকাবাসীর এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.