গত কয়েক দিনের বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে টাঙ্গাইলের সব নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার দশকিয়া ও সল্লা ইউনিয়নের প্রায় ২০টি গ্রামে রোপনকৃত আমন ধান তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা। ৭-৮ গ্রামের শতাধিক কৃষক তাদের ফসল রক্ষার্থে হাতিয়া গ্রামের উপর দিয়ে প্রবাহিত এলংজানী নদীর তীরে ঝুঁকিপূর্ণ দু’টি স্থানে স্বেচ্ছায়শ্রমে বাঁধ নির্মাণ করছেন। গত ৭ দিন যাবত একাধারে দুটি স্থানে প্রায় আড়াই শত ফুট জায়গা জুড়ে এ বাঁধ নির্মাণ করছে কৃষকরা।
কৃষকরা জানান, সল্লা, দেউপুর, হাতিয়া, ভাওয়াল, বিল ছাইয়া, আনালিয়াবাড়ী, নরদহিসহ প্রায় ২০টি এলাকায় আমন ধানের আবাদ হয়েছে। অসময়ে নদীর পানি বৃদ্ধি, হাতিয়া এলাকায় এলংজানী নদীর তীরে ভাঙে যাওয়ার ফসলি জমিতে পানি প্রবেশ করছে। এতে দুশ্চিন্তায় রয়েছে তারা। এভাবে ৩-৪ দিন পানি বাড়লে ২০ গ্রামে রোপনকৃত ধান ডুবে কৃষকের স্বপ্ন ভেসে যাবে পানিতে। সরকারি সহায়তায় স্থায়ী টেকসই বাঁধ নির্মানের দাবি জানিয়েছে ওই সব এলাকার কৃষকরা।
দশকিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মালেক ভূইয়া জানান, কৃষকরা ফসল বাঁচাতে হাতিয়া এলাকায় বাঁধ দিচ্ছেন। আমি জানার পর সেখানে বস্তা পাঠিয়েছি। প্রয়োজনে আরো সহযোগিতা করবো।
সোমবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হুসেইন স্বেচ্ছাশ্রমের বাঁধের কাজ পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি জানান, স্বেচ্ছাশ্রমের তাৎক্ষণিকভাবে সরকারি সহযোগিতা করার ব্যবস্থা নেই। তবে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে গ্রামবাসীদের সহযোগিতা করার কথা বলেছি। পরবর্তীতে বাঁধের ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হবে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.