মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার বড়লিয়া গ্রামে পরকীয়া সন্দেহে বেদম মারপিট করে গুরুতর আহত স্ত্রীকে কাঁধে তুলে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান স্বামী।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলা সদরের বড়লিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত খায়রুল ইসলাম মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী উপজেলা সদরের বড়লিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, রোববার দুপুরে স্ত্রীর পরকীয়ার বিষয়ে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে খায়রুল তার স্ত্রী সাবিনা আক্তারকে মারধর করে। এ সময় স্ত্রীর শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে দ্রুত কাঁধে তুলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন তিনি।
খায়রুল ইসলাম জানান, ‘আমার স্ত্রী প্রায় রাতে আমাকে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। দিনের বেলা শুধু তার ফোনে ফোন আসে, সুযোগ পেলেই কথা বলে।’
আহত সাবিনা আক্তার জানান, ‘বাইরের কারো সঙ্গে আমার কোনো খারাপ সম্পর্ক নাই। যে লোকের সঙ্গে আমাকে সন্দেহ করে; তার ছেলের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে দিতে চায়। তাই ওই লোক আমাকে বেয়াইন বলে ডাকেন।’
টঙ্গীবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডিউটি অফিসার ডা. কানিজ ফাতেমা জানান, রোববার দুপুরে সাবিনা আক্তার নামে এক রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে। মুখে, পিঠে ও হাতে আঘাত রয়েছে। তার শারীরিক আঘাত পুলিশ কেস হওয়ার মতো।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.