রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুন অর রশিদসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে। মামলার আবেদনে আরও অজ্ঞাতনামা ২০০-৩০০ পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে।
রোববার (২২ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে মামলার আবেদন করেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদেশ পরে দেবেন বলে জানান।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আবেদনে যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার সঞ্জিত কুমার রায়, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মেহেদি হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ড. খঃ মহিদ উদ্দিন, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, উপ-পুলিশ কমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান, এসি মতিঝিল জোন গোলাম রুহানি, আনসার সদস্য আল আমিন ওরফে মাহিদুর রহমানসহ অজ্ঞাতনামা ২০০-৩০০ পুলিশ সদস্য।
মামলার আবেদনে বলা হয়, গত ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় হারুন অর রশিদ অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ঢাকা, মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা প্রধান তার সঙ্গে ১০/১২ জন বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে নিচতলার তালা ভাঙে এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ম্যুরালের গ্লাস ভেঙে ফেলে এবং ম্যুরালটির বাম চোখের অংশ লোহার সাবল দিয়ে আঘাত করে চোখে পরিহিত কালো সান গ্লাসটি ভেঙে ফেলে।
পরে আসামিরা ২য় তলায় প্রবেশ করে এবং ২য় তলার প্রধান গেটের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং প্রথমেই ডানদিকে থাকা বিএনপির হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার কক্ষে তালা ভেঙে প্রবেশ করে। হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. ফারুক হোসেনের কক্ষে টেবিলের ড্রয়ার ভেঙে ফেলে এবং ১টি কম্পিউটার ও একটি প্রিন্টার মেশিন ডাকাতি করে নেয়। যার মূল্য এক লাখ টাকা।
বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কক্ষের ডান দিকের দরজার তালা ভেঙে ভেতরে অবৈধভাবে প্রবেশ করে টেবিলের গ্লাস ভেঙে ফেলে এবং সোফাসহ আসবাবপত্র তছনছ করে ক্ষতি সাধন করে। ক্ষতির পরিমাণ পঞ্চাশ হাজার টাকা। ২য় তলা উত্তর দিকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কক্ষের ডান দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ১টি কম্পিউটার, একটি এলইডি টিভি ও দুটি রাউটার চুরি করে। যেগুলোর মূল্য নব্বাই হাজার টাকা।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.