রাজশাহী জেলার অধিকাংশ গ্রামগুলোতে মানুষ জ্বর, সর্দি-কাশি ও ব্যাথায় ভুগছেন, যেগুলো করোনার উপসর্গ বলেই বিবেচিত হয়। তাদের বেশির ভাগই হাসপাতালে না গিয়ে স্থানীয় চিকিৎসকের উপর নির্ভর।
গ্রামবাসীর মতে, বর্ষাকালে এমন জ্বর, সর্দিকাশি সবারই হয়ে থাকে। এটা তেমন কোন জটিল সমস্যা নয়। তবে অবস্থা খুবই খারাপ হলেই কেবলমাত্র করোনার নমুনা পরীক্ষার করানো বা হাসপাতালে ভর্তি হন।
একজন গ্রাম্যডাক্তারের ভাষ্যমতে, মাস খানেক ধরে করোনা উপসর্গের রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গ্রামের বেশীরভাগ পরিবারের কারো না কারোর করোনা উপসর্গ নিয়ে আছে। তারা এসব সাধারণ সর্দি-জ্বর বলে চালিয়ে দিচ্ছেন। আবার অনেক গ্রামের মানুষের করোনার উপসর্গে থাকলেও ভয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছেনা। আবার যদি করোনা সনাক্ত হয় তাহলে তাদের লকডাউন বা ১৪ দিনের কোরেন্টাইনে থাকতে হবে। এসব ঝামেলায় গ্রামবাসী জড়াতে চাচ্ছেনা।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, যাদের উপসর্গ আছে তারা বুঝতে পারেনা যে তারা করোনায় আক্রান্ত। যখন তাদের স্যাচুরেশন একেবারেই ৬০-৭০ এ নেমে আসে নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয় কেবল তখনই তারা হাসপাতালে আসার চেষ্টা করে। আর বর্তমানে হাসপাতালে গ্রামের রোগীর সংখ্যা ৭০ ভাগ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গণটিকা কার্যক্রম চালু হলেই আর সবাইকে মাস্ক পরাতে বাধ্য করা গেলেই কেবলমাত্র করোনার সংক্রমণ কমানো সম্ভব।