ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ছিল ১৫ আগস্ট: ওবায়দুল কাদের
আগস্ট এলেই বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকার কথা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ৷
তিনি বলেন, ১৯৮১ সালে তিনি দেশে ফিরে আসার পর প্রায় ২০ বার তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ১৫ আগস্ট প্রাইম টার্গেট ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রাইম টার্গেট ছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
রোববার (১ আগস্ট) ওবায়দুল কাদের তার বাসভবনে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ছিল ১৫ আগস্ট। নির্মমতার দিক থেকে এমন রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের নজির পৃথিবীতে আর নেই। জগতে অন্যান্য হত্যাকাণ্ডে নিষ্পাপ শিশুকে হত্যা করা হয়নি। টার্গেট করা হয়নি অবলা নারীকে, অন্তঃসত্ত্বা নারীকে।
তিনি বলেন, সেদিন শুধু বঙ্গবন্ধুই নন, তার সহধর্মিণী মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা বেগম মুজিবসহ নৃশংসভাবে নিহত হন পরিবারের অন্য সদস্যরা। ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাযজ্ঞ ঘটিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে থাকেনি, তারা পরবর্তীতে ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে জেলের অভ্যন্তরে কারাকক্ষে হত্যা করে। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ছিল একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৫ ও ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের কুশীলবরা এখনো সক্রিয়, তারা উন্নয়ন, শান্তি ও স্বস্তির বাংলাদেশ চায় না।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমৃদ্ধ আগামীর পথে এগিয়ে যাওয়া তাদের গাত্রদাহ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা চায় সংঘাতে জর্জরিত রক্তময় প্রান্তর।
যারা খুনের কুশীলব ছিল তাদের অপমৃত্যু হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করেনি, ক্ষমা করেও না।
তিনি বলেন, এদেশে যারা রক্তাক্ত আগস্ট ঘটিয়েছিল, যারা ছিলে বেনিফিশিয়ারি তাদের বিচার প্রকৃতির আদালতেই সম্পূর্ণ হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ৩ নভেম্বরের হত্যাকাণ্ড মূলত আওয়ামী লীগ ও জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করতেই করা হয়েছিল। ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর ও ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ড একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা।