বিএনপির প্রচার-প্রচারণা ও আন্দোলনের ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তারা এত টাকা পাচ্ছে কোথা থেকে? সব চুরির টাকা কি এখন বের হচ্ছে? প্রতি মিটিংয়ে কত টাকা খরচ হচ্ছে?
আজ মঙ্গলবার (১ আগস্ট) রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে কৃষক লীগের রক্তদান কর্মসূচি ও আলোচনাসভায় তিনি এ প্রশ্ন করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা তাদের (বিএনপি) রাজনীতি করতে কোনো বাধা বা বিধি-নিষেধ আরোপ করিনি। পুলিশের বাধার কারণে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করতে পারত না। অথচ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সময় সেখানে পুলিশ ছিল না।
তাদের মনে রাখা উচিত যে খালেদা জিয়াকে ভোট কারচুপির অভিযোগে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছিল এবং ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পর ৪৫ দিনও তিনি ক্ষমতায় থাকতে পারেননি।’
তিনি বলেন, বিএনপি ২০০৬ সালে দেড় কোটি ভুয়া ভোটার নিয়ে আরেকটি নির্বাচনের পরিকল্পনা করেছিল; কিন্তু শেষ পর্যন্ত নির্বাচন বাতিল করা হয়েছিল।
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর বিএনপি কর্তৃক ২০০১ সালের পর দমন-নিপীড়ন চালানো এবং ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে অগ্নি সন্ত্রাসের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা যদি এর ১ শতাংশও প্রতিশোধ নিতাম, তাহলে এখন আপনার হদিস পাওয়া যেত না। আমরা প্রতিশোধে বিশ্বাস করি না।
শেখ হাসিনা বলেন, “আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের পাশে আছে। আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনা কখনো পালিয়ে যায় না। আমাদের বিরোধী দল যদিও তারা সংসদে নাই, বলে―আমরা নাকি পালাবার কোনো পথ খুঁজে পাব না। তারা হুমকি দিচ্ছে।
যিনি এই ভাষণ দিয়েছেন তাকে মনে করিয়ে দিতে চাই, ‘শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগ কখনো পালায় না, পালিয়ে যায়নি কখনো’।”
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দেশে ফেরার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক জিয়া আর রাজনীতি করবেন না বলে মুচলেকা দিয়ে ২০০৭ সালে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। এখন তারা যাদের দলের নেতা একজন দণ্ডিত, তারা বড় বড় কথা বলছে। বিএনপি নেতারা তো ইতিমধ্যেই পলাতক রয়েছে। একজন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামির অধীনে তারা কিভাবে এত বড় কথা বলতে পারে?’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হুমকি ও কঠোর বাধা সত্ত্বেও দেশে ফিরেছি।
সে সময় আমি বিদেশে ছিলাম। তারা (১/১১ সরকার) আমি দেশে ফিরি, তা চায়নি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমাকে আসতে দেয়নি। সব আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনসকে আমাকে নিয়ে ঢাকায় না নামতে বলা হয়েছিল। ঢাকায় তাদের অবতরণ করতে দেওয়া হয়নি। এমন নির্দেশনা দেওয়ার পরও আমি জোর করে বাংলাদেশে ফিরে আসি।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী ও কৃষিমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এতে বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ্র চন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি।
শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্টের অন্য শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। আলোচনা শেষে শোকের মাস উপলক্ষে কেআইবিতে রক্তদান অভিযানের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.