গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সদরচালা এলাকার একটি বৈশাখি মেলা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় শনিবার রাতে পুলিশ সিফাত তালুকদার (১৯) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছেন। গ্রেপ্তাকৃত যুবক হলো, উপজেলার মৌচাক ইউনিয়নের সদরচালা গ্রামের শরীফুল ইসলাম ওরফে এলাইচ স্বপন তালুকদারের ছেলে সিফাত তালুকদার। পুলিশ রাতে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি বাড়ীতে লুকিয়ে থাকা এ মামলার আসামী সিফাত তালুকদারকে গ্রেপ্তার করেন।
রোববার দুপুরে গাজীপুর আদালতে সিফাত তালুকদারকে হাজির করে ১৬৪ ধারায় জবান বন্ধি করা হয়। এসময় একজন বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ঘটনার সত্যতা শিকার করে জানায় এ ঘটনায় আরো দুই আসামী সাকিক হোসেন ও ইয়াসিন হোসেন নামের আরো দুই যুবক জড়িত রয়েছে।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার বিকেলে বৈশাখি মেলা থেকে তুলে নিয়ে দুই নারী শ্রমিককে ধর্ষণের ঘটনায় একটি মামলা হয়। সেই মামলা এক নারী শ্রমিকের মা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ হেফাজতে দুই নারীকে নেওয়া হয়।
শনিবার দুপুরে গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজে ডাক্তারি পরীক্ষার পর তাদের স্বজনের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাইফুল রহমান মুন্সি বলেন, শনিবার রাতে সদরচালা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত সিফাত তালূকদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাকে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবান বন্ধি করা হলে সে ঘটনার দায়ভার স্বীকার করে।
উল্লেখ্য, বড়চালা হালিমের টেক এলাকায় বসবাসকারী দুই নারী স্থানীয় টেক্সনিল ফ্যাশন ওয়্যার লিমিটেড নামক একটি পোশাক তৈরির কারখানায় কাজ শেষে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে তাদের সহকর্মী আমিনুল ইসলামকে সাথে নিয়ে পাশের গ্রামের সদরচালা গ্রামে অনুষ্ঠিত বৈশাখি মেলায় যায়। সেখানে বিভিন্ন বিনোদনে আনন্দভোগ শেষে মেলার এক পাশে ওই দুই নারী কর্মীর নানা ঢঙের ভিডিও ধারণ করছিল সহকর্মী আমিনুল ইসলাম।
এসময় ৬-৭ জন যুবক তাদের কাছে এসে আমিনুল ইসলামকে ধরে পাশের জামতলা বাজারের একটি ক্লাবে নিয়ে যায়। সেখানে আমিনুল ইসলামকে বেধরক মারধর করে ভয়ভীতি দেখায়। পরে ওই যুবকরা মোবাইল ফোনে দুই নারী পোশাক কর্মীকে ঢেকে ক্লাবে নিয়ে আসতে বলে। এসময় আমিনুল ইসলাম প্রাণের ভয়ে ফোন করে ক্লাবে ঢেকে আনে। যুবকরা আমিনুল ইসলামকে ক্লাবের এক জায়গায় বসিয়ে রেখে দুই নারীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে একটি অটোরিক্সায় তুলে নিয়ে যায়। দুই নারী পোশাক কর্মীকে নিয়ে উপজেলার আড়াবাড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে নিয়ে সাকিব হোসেন, সিফাত তালুকদার ও ইয়াসিক হোসেন একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরে ভোর চারটার দিকে ওই নারী শ্রমিককে নিয়ে পুলিশের সোর্স সাজ্জাদ হোসেনের মাধ্যমে তাদের বাড়ীতে পৌছে দেয়। এঘটনাটি জানাজানি হলে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.