দলকে শিরোপা জেতানোর পাশাপাশি ৯ গোল করে হয়েছেন টুর্নামেন্ট–সেরা খেলোয়াড়। বাংলাদেশকে শিরোপা জয়ের আনন্দে ভাসানো এই স্ট্রাইকার বর্তমানে গ্রামের বাড়িতে ফিরেছেন, থাকবেন ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তার কাজিন মাহমুদুল হাসান কনক।
দফায় দফায় দেয়া হচ্ছে সংবর্ধনা। সৌরভীকে দেখতে মানুষের ভিড় লেগেই আছে সবসময়। চ্যাম্পিয়ন– কন্যাকে ফুলের মালায় এবং উষ্ণ ভালোবাসায় বরণ করে নিয়েছেন গ্রামবাসী ও পরিবারের সদস্যরা। বলছি নেপালের কাঠমান্ডুতে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সাফ অনূর্ধ্ব–১৬ নারী ফুটবল চ্যাম্পয়নশীপে দ্যুতি ছড়ানো সৌরভী আকন্দ (প্রীতি) এর কথা।
সোমবার (পহেলা এপ্রিল) ময়মনসিংহের নান্দাইলের জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের বারঘরিয়া গ্রামের তার পৈত্রিক বাড়ী গিয়ে জানা যায়, গত শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজ বাড়িতে ফেরেন সৌরভী। এর আগে ট্রেনে করে গফরগাঁও আসেন। গ্রামবাসী তাঁকে গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশন থেকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানিয়ে মোটরসাইকেল বহরে বাড়ি নিয়ে আসেন। আনন্দে আপ্লুত রাস্তার পাশে, বাজারে, দোকানে ও মাঠে কাজ করা লোকজন হাত উঠিয়ে তাকে অভিবাদন জানান। এ ছাড়াও শনিবার পরিকল্পনা মন্ত্রী মেজর জেনারেল আব্দুস সালাম এ নারী ফুটবলারকে অভিনন্দন জানান।
আরো পড়ুন: ঈদ যাত্রায় বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়ক প্রশাসনের দায়সারা প্রস্তুতি: থ্রি-হুইলারের দাপট কমেনি
জানা যায়, বারঘরিয়া গ্রামের কালাম আকন্দ ও মনোয়ারা দম্পত্তির চার সন্তানের মধ্যে সৌরভী আকন্দ সবার ছোট ও খুব আদরের।এবার প্রায় ছয় মাস পর মেয়েকে কাছে পেয়েছেন পরিবারের লোকজন, মেয়ে বাড়ি ফিরছে বলে তাঁর পছন্দের খাবার রান্না করছে তার মা মনোয়ারা। বাড়িতে ঈদের আগেই আনন্দ উৎসব চলছে।
সৌরভির কাজিন মাহমুদুল হাসান কনক জানান, সৌরভীদের পরিবার রক্ষণশীল। গ্রামের কোনো মেয়ে ফুটবল খেলত না। ছোট বেলা থেকেই ছেলেদের পোশাক পরে স্কুলের সহপাঠী বা গ্রামের ছেলেদের সঙ্গে ফুটবল খেলত সে। খেলতে খেলতে এত উচ্চতায় পৌঁছেছে এটা কারো ভাবনায় ছিলনা। সে আমাদের সকলের মুখ উজ্জ্বল করেছে।
আরো পড়ুন: হোসেনপুর থানা প্রশাসনের উদ্যোগে বাজার মনিটরিং
সৌরভীর বড় ভাই মো: জহিরুল বলেন, গ্রামের মানুষ আমাদের বাড়িটি আকন্দবাড়ি বলে চেনে। বাড়িটি এখন ফুটবলার সৌরভীর বাড়ি হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.