রংপুর

তিস্তার পানি বাড়ছে হু হু করে, আতঙ্কে এলাকাবাসী

গত কয়েক দিনের বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে রংপুরের কাউনিয়ায় তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ টি জলকপাট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কাউনিয়া তিস্তা পয়েন্ট বর্ষার আগে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তীরবর্তী ও চারাঞ্চলের মানুষদের মাঝে কিছুটা আতঙ্ক বিরাজ করে।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, শুক্রবার (১৫ জুন) বিকেল ৩ টায় কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ২৮ দশমিক ৫৪ সেন্টিমিটার,  এর আগে এই পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় সকাল ৬ টায় ২৮ দশমিক ৫৭ সেন্টিমিটার ও সকাল ৯টায় ২৮ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার, দুপুর ১২ টায় ২৮ দশমিক ৫৪ সেন্টিমিটার।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, উজানের ঢল আর গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টিপাতে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তায় পানি বাড়তে থাকে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের ৪৪ গেটই খুলে রাখা হয়েছে। শনিবার  বিকেলের দিকে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে।  এছাড়া ভাটির অঞ্চলে সার্বক্ষণিক নদীপাড়ের পরিস্থিতির খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।

Image

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত বন্যার কোন আভাস পাওয়া যায়নি। ভারতে বৃষ্টিপাতের পরিমান বেশি হলে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে আমাদের এখানে নদীর পানি আরো বাড়তে পারে। তবে বর্ষা মওসুমের আগে তিস্তায় পানি বাড়ায় নদী পাড়ের মানুষের মাঝে কিছুটা আতঙ্ক বিরাজ করে।

কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনছার আলী  জানান, ভোর থেকে তিস্তার পানি হু হু করে বাড়ছে। বর্ষার আগে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তীরবর্তী ও চারাঞ্চলের মানুষদের মাঝে কিছুটা আতঙ্ক বিরাজ করে। তিনি বলেন, এসময় বন্যা হলে নদী পাড়ের মানুষেরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে। পাশাপাশি নদীর তীরবর্তী আবাদি জমিগুলো তলিয়ে বাদাম ও শাক—সবজি সহ উঠতি বিভিন্ন ফসলের কিছুটা ক্ষতি হবে। একই কথা জানিয়েছেন টেপামধুপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম।

চর গনাই গ্রামের বাসিন্দা কেরামত আলী  বলেন, ভোর থাকি নদিত পানি বাইরবার নাগছে। ভয়ত আছি পানি কনবা সময় বাড়ীর উঠানে উঠে। ঈদের আগত বন্যা হলে খুব বিপদে পড়ি যামো। 

একই এলাকার জয়নাল জানান, হঠাৎ পানি বাড়ার ফলে গবাদি পশুপাখি নিয়েও বিপাকে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মহিদুল হক বলেন, বন্যার এখন পর্যন্ত আভাস পাওয়া যায়নি। তবে বন্যায় যাতে কেউ ক্ষতিগ্রস্থ না হয়, সে ব্যাপারে সরকারীভাবে সকল ধরনের আগাম প্রস্তুতি নেয়া আছে। পাশাপাশি স্থানীয় প্রতিনিধিদের সার্বক্ষণিক নদীপাড়ের পরিস্থিতির খোঁজখবর রাখতে বলা হয়েছে।

Author


Discover more from MIssion 90 News

Subscribe to get the latest posts to your email.

দ্বারা
মোঃ মন্জুরুল আহসান, কাউনিয়া উপজেলা প্রতিনিধি

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এছাড়াও পরীক্ষা করুন
Close
Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker