স্বাক্ষর জালিয়াতি করে হলফনামা : স্ট্যাম্প বিক্রেতা ৫ দিনের রিমান্ডে

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে হলফনামা তৈরি করে দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় স্ট্যাম্প বিক্রেতা অভিযুক্ত আশরাফুল ইসলামের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। আজ শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিন অভিযুক্ত আশরাফুল ইসলামকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে দশ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার পাঁচ অভিযু্ক্তের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

মামলার এজাহারে বলা হয়, ভুক্তভোগী মো: রহমত আলী একজন গার্মেন্টস চাকরিজীবী। তিনি বিদেশ যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট করেন। তবে পাসপোর্টে ভুক্তভোগীর নাম ও তার পিতার নাম ভুল হয়। এরপর তা সংশোধনের জন্য গত ৫ জানুয়ারি আদালতে গিয়ে অভিযু্ক্ত মো: আশরাফুল ইসলামের সাথে কথা বলেন। এ সময় কাজের বিনিময়ে তাকে নগদ এক হাজার টাকা প্রদান করেন। এরপর অভিযুক্ত আশরাফুল ইসলাম ও তার সহযোগী মোহাম্মদ আলীর সহযোগিতায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর স্বাক্ষর সম্বলিত নোটারি পাবলিক (হলফনামা) তৈরি করে দেন।

ভুক্তভোগী রহমত আলী ওইদিন বেলা আড়াইটার দিকে তাদের কাছ থেকে এ হলফনামা নিয়ে চলে যান। পরবর্তীতে সন্দেহ হলে ৬ জানুয়ারি ভুক্তভোগী রহমত আলী এ হলফনামা নিয়ে ঢাকা মহানগর আদালতের রেজিস্ট্রার অফিসে যান। অফিসে কর্মরত ব্যক্তিরা জানায়, হলফনামা খানায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর নয়।

এরপর রেজিস্ট্রার পর্যালোচনায় দেখা যায়, নোটারিটি পাবলিক হয়নি। এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানাকে জানালে পুলিশ এসে অভিযুক্ত আশরাফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। তবে অপর অভিযু্ক্ত মোহাম্মদ আলী পালিয়ে যায়। এ সময় একটি সিপিইউ, একটি মনিটর, একটি প্রিন্টার, কিবোর্ড ও মাউস জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রহমত আলী রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।