রাজধানীর হাতিরঝিল থানার সাব-ইন্সপেক্টর জাহিদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২৩ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালত পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) এ অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ২৮ আগস্ট প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
অপর দুই আসামি হলেন- অভিযোগকারী আজাদের সাবেক প্রেমিকা আয়শা রুবি এবং তার স্বামী জসিম উদ্দিন রায়াত।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এম কাওসার আহমেদ বলেন, সকালে আদালত বাদী আজাদ মাহমুদের জবানবন্দি গ্রহণ করে আদেশ পরে দিবেন বলে জানান। দুপুরে আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
অভিযোগে বলা হয়, আজাদের সঙ্গে রুবির দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরবর্তীতে রুবি রায়াতকে বিয়ে করলে সম্পর্ক শেষ হয়। তবে তাদের ঘনিষ্ঠ কিছু ছবি রুবির কাছে ছিল। রুবি ও রায়াত এগুলো দিয়ে আজাদকে হুমকি-ধমকি দিত। পরে আজাদ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। তারা আজাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অভিযোগ ও জিডি করে। পরে আপসের মাধ্যমে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
গত ১০ জুলাই রুবির শাশুড়ি স্ট্রোক করেছে বলে আজাদকে জানায়। তারা আজাদের সাহায্য চায়। আজাদ রাত সাড়ে ৯টার দিকে রায়াতের সঙ্গে মগবাজারের একটি রেস্টুরেন্টে দেখা করেন। সেখানে গেলে এসআই জাহিদ তাকে হাতিরঝিল থানায় নিয়ে যান। পরে আজাদের আত্মীয়দের ফোন করে টাকা পয়সা নিয়ে আসতে বলেন এসআই জাহিদ। রুবি ও রায়াতের ফোন ব্যবহার করে এসআই জাহিদ একাধিক বার ফোনে চাঁদা দাবি করেন। তাকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নিবেন বলে ভয়ভীতি দেখান। এ থেকে রেহাই পেতে হলে তাকে (এসআই জাহিদ) ও ওসিকে (হাতিরঝিল) মিষ্টি খেতে ৩ লাখ টাকা দিতে বলেন। আজাদের এক আত্মীয় থানায় যান। তাকে এক লাখ টাকা দিতে বাধ্য করেন এসআই জাহিদ। ওই টাকার মধ্যে আজাদের মানিব্যাগে থাকা ২০ হাজার টাকা এবং বাকি ৮০ হাজার টাকা এটিএম কার্ডের মাধ্যমে তুলে আনতে বাধ্য করেন।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.