মাহফুজ রাজা,কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
কাক ডাকা ভোরে ঘুম ঘুম চোখ নিয়ে কুয়াশার বুক ছিরে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের পৌর এলাকার কুঁড়িঘাট মোড়ে নিয়মিত বসে কামলা / দৈনিক প্রমিকের হাট। একটি পাবলিক টয়লেট না থাকায় মলমূত্র ত্যাগ হচ্ছে যত্রতত্র এতে দূষন বাড়ছে পরিবেশের। অনেক কষ্ট পোহাতে হচ্ছে শ্রমিকদের। এখানে উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলো থেকেও শ্রমিকেরা আসেন সারা দিনের জন্য শ্রম বিক্রি করতে।
চর বিশ্বনাথপুরের মোহাম্মদ আলী ও বাচ্চু মিয়া বলেন..প্রায় ৪০ বছর থেকে এখানে কামলার হাট বসে এতে উপজেলার কৃষকদের সহজে মিটে যায় শ্রমিক সংকট। এখানে একটা পাবলিক টয়লেটের ব্যবস্থা হলে অনেক ভালো হতো। হাট থেকে কৃষকেরা দরদাম মিটিয়ে শ্রমিকদের নিয়ে যান। অনেকে দূর দুরান্ত থেকে আসেন। চুক্তি মিটিয়ে শ্রমিক নিয়ে রওনা হন যানবাহনে।প্রায়ই প্রস্রাব -পায়খানার চাপ হলে পড়ে যান বিপাকে।
জানা যায়,প্রতিদিন কাজের সন্ধানে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েক শ শ্রমিক সমবেত হন এই হাটে। স্থানীয় কৃষকেরা চাহিদা মতো শ্রমিক নিয়ে যান।
কুঁড়িঘাট হাটের কৃষি শ্রমিক মিজান বলেন,সুনামগঞ্জ থেকে কাজের সন্ধানে নিয়মিত আসি। এখানে আমার মতো আরও অনেকে একটি ঘরে ভাড়ায় রাত্রি যাপন করি। প্রতিদিন কাজের সন্ধানে এই হাটে এসে দাঁড়াই। সকাল, দুপুর, বিকেলের খাবারসহ যাতায়াত খরচও গৃহস্থ দেয়।এখানে দীর্ঘসময় গৃহস্তের জন্য অপেক্ষা করে অনেকেরই অনেক সময় টয়লেট চাপলে বেকায়দায় পড়তে হয়। বাধ্য হয়েই অনেকে নদীর পাড় বা দোকানের পিছন দিকে পেশাব-পায়খানা করে।
স্থানীয় দোকানদার মামুন মিয়া জানান,উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভাসহ প্রতিবেশী উপজেলা থেকে প্রতিদিন কয়েকশ কৃষক-শ্রমিকের সমাগম হয় এখানে।টয়লেট ব্যবস্থার অভাবে তাদেরও বেড়েছ ভোগান্তি আমাদেরও ভোগান্তি।
স্থানীয় বাসিন্দা মো.রাসেল বলেন,ময়মরুব্বিদের কাছে শুনেছি আগে শ্রমিকের হাট বসতো হোসেনপুর ব্রিজের কাছে, ৩০/৪০ বছর ধরে এই মোড়ে বসে। উপজেলার সকল মানুষের কাছে সহজে যোগাযোগের ঐতিহ্যবাহী স্থান কুঁড়িঘাট। প্রতিদিন ভোরে শত-শত মানুষের সমবেত স্থল এটি।কৃষক-শ্রমিক আর পরিবেশের কথা মাথায় রেখে ,সংশ্লিষ্টদের কাছে একটা পাবলিক টয়লেট স্থাপনের জোর দাবি জানাচ্ছি।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.