মাহফুজ রাজা, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে শীতের সবজি চাষ ও পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা। বারো মাস বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করে থাকেন তারা। মৌসুমের আগে শীতের ফসল চাষ করে বাজারে তুলে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।
কাক ডাকা ভোরে ঘুম থেকে উঠে জমিতে হাল চাষ, চারারোপণ, খেতে পানি দেয়া ও আগাছা পরিষ্কার করাসহ নানা কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয় এসব সবজি। উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে এখন শোভা পাচ্ছে নানা ফসল। এখানকার উৎপাদিত ফসল রাজধানীসহ দেশের বিভাগীয় শহরের বাজারে বিক্রি হয়ে এখন রফতানি হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে।
জেলার প্রধান ফসল ধান, মরিচ, আলু, সরিষা, কলা, পাট, আখসহ বিভিন্ন শাকসবজি। এ ছাড়া মৌসুমের আগেই জেলার বিভিন্ন মাঠে সারি সারি শিম গাছ, শোভা পাচ্ছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, শিম, বেগুন, মুলা, করলা, পটল, পালং ও লালশাকসহ হরেক রকমের শীতকালীন সবজির চারা। এসব শীতকালীন সবজি ইতোমধ্যে বাজারে তোলা শুরু হয়েছে।আগাম বাজারে উঠায় সবজির দামও ভালো পাচ্ছেন কৃষকরা।
অনেক চাষি ইতোমধ্যে আগাম জাতের সবজি খেত থেকে তোলে বিক্রি করে আবারও ওই জমিতে সবজি চাষ শুরু করছেন। ফলে সবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।
উপজেলার জিনারী ইউনিয়নের চরকাটি হারী গ্রামের প্রান্তিক চাষি শফিকুল ইসলাম গোলাপ জানান,তার ১৬ শতক জমি থেকে মাত্র ২ হাজার টাকা খরচ করে, আগাম জাতের করলা চাষে বিক্রি করে তিনি এবার ২০ হাজার টাকা আয় করেছেন। এরপর ওই জমিতে আবারও সবজি চাষ শুরু করেছেন। এবার অনুকূল আবহাওয়া থাকার আগাম জাতের শীতের সবজির ফলন ভালো হয়েছে।
প্রতিবেশী ইউনিয়নের সাহেবের চর গ্রামের চাষী খলিল মিয়া জানান, ৩০ শতক জমি সবজি চাষ করে প্রতি বছর তিনি ৩০-৪০ হাজার টাকা আয় করে থাকেন। এবারও সবজি চাষ করেছেন। তবে লাভজনক হওয়ায় স্থানীয় চাষিরা সবাই কিছু না কিছু সবজি চাষ করে থাকেন। এখানকার সবজি ঢাকাসহ সারা দেশে ছড়িয়ে যায় বলে জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এস এম সাহজাহান কবির জানান, শীতের সবজি চাষ করতে গ্রামে গ্রামে ঘুরে কৃষি অফিসাররা কৃষকদের পরামর্শসহ কারিগরি সহায়তা দিয়ে থাকেন। লাভজনক হওয়ায় এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত শীতের সবজি চাষ হবে।