মাহফুজ হাসান,কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে হারিয়ে যাওয়া শত ঐতিহ্যের মাঝে শৈশবের খেলা বেয়ারিং গাড়ীও একটি। বেয়ারিং গাড়ি দেখলেই মনে পড়ে যায় ছোটবেলার কথা। রিকশা বা ভ্যানের চাকার কিম্বা পুরান সেলু মেশিনের অকেজো পুরনো বেয়ারিং দিয়ে বানানো হয় এই গাড়ি। আগে গ্রামে বেড়ে ওঠা শিশুরা এটি দলবেঁধে চালাত। আর এই গাড়িতে চড়ার জন্য ছিল কতো প্রতিযোগিতা। মাঝে মাঝে শিশুদের মধ্যে এ নিয়ে মারামারিও হতো। নব্বই দশকে পল্লি গাঁয়ের ছেলে বেলার বিনোদনের মুখ্য উপাদান ছিলো বেয়ারিং গাড়ী।
তবে সভ্যতার ক্রমবিকাশ আর আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই খেলাটি।বিশেষ করে মোবাইল ফোনের কার্টুনের নেশায় আসক্ত হয়ে স্থবির হয়ে পড়েছে শৈশবের দূরন্তপনা। শুধু এটিই নয় গ্রাম বাংলার অনেক খেলাই আজ হারিয়ে গেছে। এমনি মানুষ ভুলে গেছে অনেক খেলার নামও।উপজেলার চরাঞ্চলগুলিতে এ খেলাটি বেশি লক্ষ্য করা যেতো।
শুক্রবার (১৮ আগষ্ট) উপজেলার জিনারী ইউনিয়নে হঠাৎ বেয়ারিং গাড়ি নিয়ে খেলার একটি দৃশ্য চোখে পরে। এ সময় দুই ভাইকে বেয়ারিং গাড়ি নিয়ে খেলা করতে দেখে ছোটবেলার সেই স্মৃতিগুলো মনে পড়ে যায়।
মনে উঁকি দিয়ে উঠে ছোট বেলার মধুময় বিচরণ মুহুর্তগুলি।গ্রামের কাঁচা রাস্তায় দল বেঁধে হই হই করে বেয়ারিং গাড়ি চালিয়ে বেড়ানোর সেই দৃশ্য। স্মৃতিগুলো আজও অক্ষত।এই বেয়ারিং গাড়ি দিয়ে খেলা, এটি আদি ক্রীড়া সংস্কৃতি। এ খেলাটি এক সময় গ্রামীণ সংস্কৃতির ঐতিহ্য বহন করত। বর্তমানে খেলাটি বিলুপ্ত হতে হতে আজ এর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়াই কঠিন।
আগে খেলাধুলার মাধ্যমে শৈশবের দুরন্তপনায় জড়িয়ে থাকত ছেলেমেয়েরা। তারা মাঠ-বিল-ঝিলে হারিয়ে যেত। কিন্তু আধুনিক সভ্যতার ছোঁয়া ও কালের বিবর্তনে মহাকালের ইতিহাস থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে এ খেলাটি।শিশুদের স্বানন্দে বেড়ে উঠায় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে আধুনিক প্রযুক্তি।
এ ব্যপারে সাহেবের চর গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠ জসিম মুন্সি বলেন,বর্তমানে ছোট ছেলে মেয়েরা বায়না ধরলেই কিনে দেওয়া হয় আধুনিক বাহন।অথচ আগে ছোটদের বায়না মেটাতে ছেলেমেয়েদের দেওয়া হতো ঘরে তৈরি সরঞ্জাম, যার মধ্যে একটি বেয়ারিং গাড়ী