কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধানের আবাদ

কৃষি যান্ত্রিকীকরণে কৃষকদের উৎসাহিত করতে কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধানের আবাদ হচ্ছে। যন্ত্রের সহযোগিতায় কম শ্রমিকে এবং কম খরচে খুব সহজে বোরো চাষ করতে পেরে খুশি কৃষক। আগামী কয়েক বছরে পুরো হাওরাঞ্চল কৃষি যান্ত্রিকীকরণের আওতায় চলে আসবে, এমনটিই আশা করছে কৃষি বিভাগ।

মিঠামইনের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: আনিছুর রহমান জানান, সনাতন পদ্ধতিতে এক একর জমিতে শুধু ধান রোপণ করতেই খরচ হয় আট হাজার টাকা। একই পরিমাণ জমিতে যন্ত্রের সাহায্যে রোপণ করলে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা খরচ হয়। তাই কৃষি কর্মকর্তারা সর্বক্ষণ কৃষকদের পাশে থেকে উৎসাহ দিচ্ছি যান্ত্রিকীকরণে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি বছর জেলার মিঠামইন হাওরে ১৫০ একর জমিতে একই জাতের বোরো ধান একই সময়ে আবাদ করতে কৃষকদের প্রণোদনা দিয়েছে সরকার। এখন পুরোদমে চলছে যন্ত্রের সাহায্যে ধানের চারা রোপণ। কৃষকেরা একসঙ্গে বপন, রোপণ ও কর্তন করবেন এই ধান। তাই এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘সমলয় চাষ’। আধুনিক কৃষিযন্ত্রের ছোঁয়ায় খুব সহজে ঘরে তোলার স্বপ্নে বিভোর কৃষকেরা।

সমলয় আবাদ সম্পর্কে কৃষকেরা বলেছেন, বীজ, সার এবং যান্ত্রিক সহযোগিতা সবকিছু কৃষি বিভাগ থেকে পাওয়া যাচ্ছে। যন্ত্রের মাধ্যমে রোপণ, কাটা, মাড়াই সব হওয়ায় বোরো ধানের আবাদ খুব সহজ হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সাজানো গোছানো সারি-সারি বোরো ধানের বীজতলা। প্লাস্টিকের ট্রেতে বীজধান বপন করে তৈরি করা হয়েছে এই বীজতলা। সনাতন পদ্ধতি থেকে হাওরাঞ্চলের বোরো চাষকে আধুনিক কৃষিতে রূপান্তরিত করতে কৃষিযন্ত্রের মাধ্যমে বীজতলা তৈরি, রোপণ ও ধান কর্তনে উৎসাহ দিচ্ছে জেলা কৃষি বিভাগ।

হাওরাঞ্চলের কৃষকদের মধ্যে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের সুফলতায় আগ্রহ বাড়ছে বলে জানান, কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ছাইফুল আলম।

ছাইফুল আলম আরও জানান, যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে সমলয় পদ্ধতিতে হাওরে হাইব্রিড জাতের ধানের আবাদ হচ্ছে, যা রোপণের ১৩০ থেকে ১৩৫ দিনে কর্তন করা যাবে।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker