হোসেনপুরের মাঠে ঘাটে কৃষাণ-কৃষাণীর ব্যস্ততা ধান মাড়াইয়ে
আমনের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি; তবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তার অনুপস্থিতি নিয়ে হতাশা
শেষ হেমন্তের মৃদু বাতাসে দোল খাচ্ছে মাঠ ভরা সোনালী ধান। লেজঝোলা ফিঙে আর শালিকের দিকে তাকানোর ফুরসত নেই কৃষকের, কারণ মাঠের পাকা ধান কেটে দ্রুত গোলায় তুলতে হবে।
রবিবার সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, ধান কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের কৃষকেরা। আমনের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকরা বেজায় খুশি এবং নবান্নের আমেজে চলছে পিঠা-পুলির উৎসবের প্রস্তুতি।
কৃষকরা দিনভর কয়লা খাটুনি খেটে ধান কাটার পর মাড়াই শেষে ঘরে তুলছেন। তাদের এ কাজে সহযোগিতা করছেন কৃষাণি বধূরাও।
গত বছর মাজরা পোকার আক্রমণ থাকলেও এ বছর অনুকূল আবহাওয়া ও কৃষি অফিসের তদারকির ফলে আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে সাহেবের চর গ্রামের কৃষকরা জানান, ধান গাছের গোড়া পচন রোগ নিয়ে হতাশায় থাকলেও যথোপযুক্ত পরিচর্যায় ঝুঁকিমুক্ত হন। কিন্তু তাঁরা আফসোস করেন যে, এলাকায় নিযুক্ত কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তার পরামর্শ সঠিক মূহুর্তে পাননি।
কৃষক মহসিন, খলিল মিয়া, বাতেন মিয়া, মো. জাকিরসহ অনেকে জানান, ভালো ফলন হলেও চাষাবাদ সংশ্লিষ্ট দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ব্যাপক চাপে ফেলেছে কৃষকদের।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ একেএম শাহজাহান কবির জানান, এ বছর উপজেলায় ৮ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে।