গাজীপুর

কালিয়াকৈরে লাল চালের ধানের বাম্পার ফলন

এক সময়ের জনপ্রিয় ও সুস্বাদু  লাল চালের ধান এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। বাংলাদেশে ৯৯ এর দশকে এ ধান প্রায় জেলাতেই উৎপাদন ছিলো বেশ। এখন আর তেমন চোখো পরেনা। তবে হটাৎ করেই  বাড়ছে এই চালের কদর। তবে উৎপাদন কম হওয়ায় রয়েছে দুষ্প্রাপ্যতা। এসব বিবেচনা করেই একজন উদ্যোক্তা গাজীপুরের কালিয়াকৈরে চলচিত্র উন্নয়ন কেন্দ্রের পরে থাকা প্রায় ৫৫ বিঘা জমি লিজ নিয়ে চাষ করেছেন বিনা-১৫ ও বিনা-২০ জাতের লাল চালের ধান। তবে অনেক দিন যাবত জমি পতিত থাকায় ধান উৎপাদনের উপযোগী করে খরচ একটু বেশি হলেও ফলন হয়েছে বেশ সন্তোষজনক। এরই মধ্যে উৎপাদিত ধান কাটা শুরু করেছে সেই লাল চাউল আবাদকারী উদ্যোক্তা।

কোন রাসায়নিক ও ক্ষতিকারক ঔষধ ব্যবহার না করে সম্পূর্ণ অর্গানিক পদ্ধতিতে চাষ করা হয়েছে ধান। ব্যবহার করা হয়েছে নিজ হাতে তৈরি জৈব সার। আর এই ফসল উৎপাদন করেছেন উদ্যোক্তা রিজভী আহমেদ মিল্টন।

রিজভী আহমেদ মিল্টন বাড়ি বৃহত্তর পাবনা জেলার নগরবাড়ি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনায় পড়াশোনা শেষ করে ন্যাচারাল ফুড উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ করছেন। তিনি স্বদেশ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন।

এরই ধারাবাহিকতায় গাজীপুর কালিয়াকৈরে উপজেলার আন্ধারমানিক এলাকার অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফিল্ম সিটির ৬০ বিঘা জমি লিজ নিয়ে শুরু করেছেন লাল চালের ধান চাষ।

রিজভী আহমেদ মিল্টন সাংবাদিকদের কে বলেন, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্মকর্তা ড: মাহবুবুর রহমান স্যারের সার্বিক দিক নির্দেশনা নিয়ে আমি এই লাল চালের ধান চাষ করেছি। আমি সবসময় চাই বাজারে ভালো মানের পণ্য আসুক। চারিদিকে ভেজাল খাদ্য। আমি সবসময় চেয়েছি ভেজালমুক্ত অর্গানিক ফুড মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে। আমার এই ধান উৎপাদন করতে তিনগুণ বেশি খরচ হয়েছে। কেননা আমি নিজ হাতে বানানো জৈব সার ব্যবহার করেছি। খরচ একটু বেশি হলেও আমি চাই মানুষ ভালো মানের খাবার গ্রহণ করুক। প্রায় ৫৫ বিঘা জমিতে রোপণকৃত ধানের অর্ধেকর বেশি পেকে গেছে। ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে। গানগুলো তিনটি প্রসেস করবো। কিছু ধান মারাই করার পরেই বিক্রি করে দিবো, কিছু মেশিনের মাধ্যমে চাল তৈরী করবো এবং বাকি চাল ঢেঁকি ছাটা করবো এবং সেগুলো বিভিন্ন মাধ্যমে বাজারজাত করবো। তবে তার ফলন নিয়ে আশাবাদী।

এদিকে, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছে সাধারণ চাল থেকে লাল চাল বেশি পুষ্টিকর, এই লাল চালে প্রচুর অ্যানথোসায়ানিন নামের অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট থাকে। অ্যানথোসায়ানিন শরীরে প্রদাহ, অ্যালার্জি কমায়। লাল চাল  ওজন ও ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। তাই স্বাস্থ্যগত কারনেই  সাদা চালের চেয়ে লাল চাল ভালো।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker