ঢাকা

মহাষ্টমীতে পূজিত হলেন ছয় বছরের দেবদৃতা

ছয় বছরের দেবদৃতা চক্রবর্ত্তী কুমারী দেবীরূপে এ বছর মহাষ্টমীতে পূজিত হলেন ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনে। অতিমারী পেরিয়ে হাজারো ভক্ত অঞ্জলি দিলেন কুমারী মায়ের পায়ে।

এর আগে ষোড়শ উপাচারে অনুষ্ঠিত হয় মহাষ্টমী বিহিত পূজা।

শাস্ত্রীয় নাম ঊমা। কুমারীরূপী দেবী মণ্ডপে প্রতিষ্ঠিত হতেই হাজারো ভক্তের জয়ধ্বনি আর উলুধ্বনিতে মুখর মণ্ডপ। দুই বছরের প্রতীক্ষা শেষে এই ক্ষণে ভক্তের আনন্দ তাই অপার।

দিনটিতে পূজামণ্ডপগুলোতে দর্শনার্থী-পুণ্যার্থীর ভিড় বেড়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত দুই বছর মহাষ্টমীর মূল আকর্ষণ কুমারী পূজা আয়োজন করা হয়নি।

তবে, এবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় উদযাপিত হলো কুমারী পূজা। পূজা শেষে কুমারীরূপী দেবদৃতা ভক্তের প্রতি জানান তাঁর আশীর্বাদ। এর আগে সকালে অনুষ্ঠিত হয় অষ্টমীবিহিত পূজা।

সনাতন বিশ্বাস অনুযায়ী, অষ্টমী তিথি শেষ আর নবমী তিথি শুরু,এই সন্ধিক্ষণে মহিষাসুর বধ করেন দেবী দুর্গা।

রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী পূর্ণাত্মানন্দ মহারাজ জানান, রামকৃষ্ণ মিশনে বেলা ১১টায় কুমারী পূজা শুরু হয়।

দেবীদুর্গাকে সম্মান জানাতেই অষ্টমীতে আয়োজন করা হয় কুমারী পূজার। কুমারী পূজার ১৬টি উপকরণ দিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিকতার সূত্রপাত। নারী জাতির প্রতি সবাই শ্রদ্ধাশীল হবে।

পুরাণমতে, দুর্গাদেবী কুমারী রূপেই আবির্ভূত হয়েছিলেন দেবতাদের সামনে। সেই রীতি বহন করেই মহাষ্টমীর সকালে কুমারী পূজার আয়োজন। মহাষ্টমীর সবচেয়ে বড় আকর্ষণ কুমারী পূজা।

যেখানে একজন কুমারীকে মহাষ্টমীর দিন ভোরে স্নান করিয়ে নতুন কাপড় পরানো হয়। তাকে সাজিয়ে কপালে সিঁদুর, পায়ে আলতা ও হাতে ফুল দেওয়া হয়।

এরপর সুসজ্জিত আসনে বসিয়ে ষোড়শোপচারে (ষোলো উপাদান) দেবীজ্ঞানে পূজা করা হয়। এ সময় চারদিকে শঙ্খধ্বনি, ঢাকের বোল, উলুধ্বনি আর দেবী স্তুতিতে মুখর হয়ে ওঠে।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker