মোঃ রুস্তম আলী এখন ৬৯ বছর আর স্ত্রী মোছাঃ ছালেহা বেগমের বয়স ৫৯ চলছে, খাগড়াছড়ি পৌর শহরের ০৩ নং ওয়ার্ড শান্তিনগর এলাকার খাগড়াছড়ি গেইট,মো রুস্তম আলী ভাড়া বাসায় । আগে আনসার ভিডিপিতে পানছড়িতে কর্মরত ছিলেন। একদিন হঠাৎ গাছ থেকে পড়ে গিয়ে আহত হন। পর্যায়ক্রমে পায়ের সাথে দুটো হাতও অবশ যায়, হাঁটাচলা একেবারেই বন্ধ। শরীরের নানা জটিলতা নিয়ে আট বছর বিছানায় শুয়ে দিন কাটছে তাঁর।
স্ত্রী ছালেহা বেগম এই বৃদ্ধ বয়সে বিভিন্ন হোটেলে কাজ করে চালান সংসার। নানা অসুখে জর্জরিত ছালেহা জানেন না এভাবে কতদিন চালাতে পারবেন। এখন শুধু দুশ্চিন্তা কিভাবে দুমুঠো ভাত জোগাড় করবেন। কিন্তু এ কষ্টেও জুটেনি কোনো সরকারি সহায়তা। এমনকি বয়স্ক ভাতার তালিকায়ও নাম ওঠেনি।
শুধু রুস্তম আলী বিছানাবন্দী, ছবির চিত্রটির মতো ৮ বছর যাবত এবাবে সারাক্ষণ শুয়ে থাকতে হয় তাঁকে। সোজা হয়ে একটু যে শোবেন তারও কোনো উপায়ান্তর নেই তাঁর। এছাড়া খাওয়া-দাওয়া সহ সব কিছু।
সোমবার (১৬ আগস্ট) বিকালে ‘জাগো সংগঠন’নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা রুস্তম আলীর ভাড়া বাসায় দেখতে গিয়ে জানতে পারেন এই দম্পতির করুণ কাহিনী।
সংগঠনের সভাপতি নয়ন বড়ুয়া জানান, ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার থেকে অসহায় এ দম্পতির জন্য একটি ঘরের ব্যবস্থা ও প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা পায়, সেজন্য খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসকসহ স্থানীয় বিত্তবানদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছি। যেন এ পরিবারকে একটি বার হলেও নজর দেন।
ভূমিহীন,গৃহহীন রুস্তম আলীর আবেদন সরকারের কাছে আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় যেন সে একটু থাকার আশ্রয় পায়। এবং মানবিক জেলা প্রশাসক মহোদয়ের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন,,, ওনাকে যেন একটু দেখে আসে। ঘরের প্রতিবেশীর কাছ থেকে অনেক গল্প শুনেছেন মানবিক জেলা প্রশাসক মহোদয়ের।।। তার দেখার সাধটা যেন তীব্র বেড়ে গেছে তার কথার অনুভূতির মাধ্যমে।
ইতোমধ্যে ঐ পরিবারের পক্ষ হয়ে বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করেছি। সংগঠনের পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তাও দেওয়া হবে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts sent to your email.