কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও গলাচিপার রাস্তাঘাটে মানুষ বের হলেই আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে।
শুক্রবার (২ জুলাই) সকাল থেকেই উপজেলার বিভিন্ন প্রবেশপথে কঠোর অবস্থান শুরু করে প্রশাসন।
ভোর থেকে দৈনন্দিন কাজে মানুষ বের হলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে মানুষের চলাচল কমে যায়। আজ শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় তুলনামূলক ভাবে রাস্তায় রিকশা, ভ্যান কম এবং মানুষের চলাচল কম দেখা গেছে।
গলাচিপা উপজেলা পৌর শহরে সেনাবাহিনী, আনসার, পুলিশসহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র এর তত্ত্বাবধানে যৌথবাহিনী কাজ করছে।
এছাড়াও বিজিবি ও সেনবাহিনীর টিম উপজেলা টহল দিচ্ছে। মাঠে আছে অফিসার ইন চার্জ গলাচিপা থানা। অহেতুক কেউ বাইরে ঘোরাঘুরি করতে গেলে পুলিশের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে, ভ্রাম্যমাণ আদালতে দিতে হচ্ছে জরিমানা।
সকাল থেকে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গন দায়িত্ব পালন করছেন। উপজেলা পর্যায়ে দায়িত্বে আছেন নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনাররা (ভূমি)।
লকডাউনের প্রথমদিনে উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আজ দ্বিতীয় দিনও একইভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় ও গলাচিপা উপজেলায় লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশীষ কুমার এবং উপজেলার বিভিন্ন বাজারে টহলে আছেন সহকারী কমিশনার ( ভূমি ) নজরুল ইসলাম ও সেনাবাহিনী ।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায় , কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন করতে সকাল থেকে আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা মাঠে নেমেছেন। বিধি-নিষেধ অমান্য করলেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ,করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে বুধবার (৭ জুলাই) মধ্যরাত পর্যন্ত ‘কঠোর বিধিনিষেধ’ আরোপ করেছে সরকার। এ সময় জরুরি সেবা দেওয়া দফতর-সংস্থা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিস, যন্ত্রচালিত যানবাহন, শপিংমল-দোকানপাট বন্ধ থাকছে। তবে গণমাধ্যমসহ কিছু জরুরি পরিষেবা এ বিধিনিষেধের বাইরে রয়েছে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts sent to your email.