জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে প্রাণঘাতী করোনা সংক্রমণ রোধকল্পে লকডাউনে থাকা ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় গরীব কৃষকদের মাঝে সরকারি বরাদ্দকৃত কৃষি প্রণোদনা বীজ ও সার বিতরণ করার নির্দেশনা থাকলেও বিতরণে হচ্ছে অনিয়ম প্রকৃত কৃষকেরা পাচ্ছে না এসুবিধা। এমনই অভিযোগ পাওয়া গেছে তৃণমূলের অসহায় সুবিধাবঞ্চিত কৃষকদের কাছ থেকে। সারা দিনব্যাপী কৃষি প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। বিতরণকৃত পণ্যাদি মধ্যে ছিল হাইব্রিড ও উপশী জাতের ধানের বীজ এবং ডিএপি ও পটাশ সার।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ৭০০ জন কৃষকের মাঝে বিতরণ করা হয় ২কেজি হাইব্রিড ধানের বীজ(এজেট-৭০০৬), ২০কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি পটাশ এবং ৩৫০ জন কৃষকের মাঝে বিতরণ করা হয় ২ কেজি উপশী ধানের বীজ, ১০কেজি ডিএপি ও ১০কেজি পটাশ সার। কিন্তু তৃণমূল কৃষকদের হতাশা ভরা আপসোস ,উপজেলায় মোট ১০৫০ জন কৃষকের মাঝে এ প্রণোদনা বিতরণ করা হলেও প্রকৃত কৃষকেরা পায়নি এ সুবিধা।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা কৃষকদের কাছ থেকে এনআইডি ও ছবি নিয়ে বীজ ও সার উত্তোলন করে সিন্ডিকেট বেপারীদের কাছে বিক্রি করে এবং বেপারীরা এসব কৃষি প্রণোদনার বীজ ও সার নিয়ে আরামনগর বাজারে বীজ সার ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে। আনিছুর রহমান ট্রেডার্স ও হাসি ট্রেডার্সে এসব সরকারি কৃষি প্রণোদনা পণ্য অবাদে বিক্রি করছে বেপারিরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক কৃষকই বলেন জনপ্রতিনিধিরা তাদের কাছ থেকে কাগজপত্র নিয়ে কখন বীজ ও সার উত্তোলন করেন, তারা তার কিছুই জানেন না। এসব বিতরনের সময় কৃষি অফিসার কোন যাচাই-বাচাই না করেই বীজ ও সার বিতরন করেন। এজন্যই প্রকৃত কৃষক সরকারের এই কৃষি প্রণোদনার সার ও বীজ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, জনপ্রতিনিধিরা যেভাবে আমাদের লিস্ট দেন। সেভাবেই আমরা বিতরণ করি। এখানে আমাদের করণীয় কিছুই নাই।