কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে ড্রাগন সুপার তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়েছে কৃষকরা। সব রকম শাক-সবজি কাঁচাপন্য বা ফলচাষের বর্নাট্য আয়োজন কিংবা চাষাবাদ থাকলেও ছিলনা তরমুজ চাষের উৎপাদনমুখি কার্যকলাপ। এ বছর হোসেনপুরের বিভিন্ন গ্রামে কৃষকরা তরমুজ চাষের বীজতলা তৈরি করেছেন, এখন চারা রোপন শুরু হয়েছে।
সাহেবের চর গ্রামের কৃষক রুবেল মিয়া আমাদের জানান, সিনজেন্টা কোম্পানির কর্মকর্তাদের পরামর্শক্রমে তারা বীজতলা তৈরি করেছেন।
কৃষক হারুন-অর-রশিদ জানান, বীজ প্রথমে ৩ ঘন্টা রুদে শুকিয়ে আবার বীজগুলি ঠান্ডা করে ৬ ঘন্টা পানিতে ভিজেয়ে রেখে পরিষ্কার ভাবে ধুয়ে আবার ১৮ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে তারপর পানি থেকে তুলে ভালো করে মুছে শুকনো করে, মিনি পলিব্যাগে প্রতি প্যাকেটে ১০০ গ্রাম বীজ ডুকিয়ে পলির হাওয়া বের করে নরম কাপড়ে জড়িয়ে লেপ বা তোষকের তলায় কিংবা যেকোন উষ্ম স্থানে ৪৮ ঘন্টা রাখলে বীজগুলিতে অংকুর আসে তারপর ৫ মন মাটির সাথে সিনজেন্টা কোম্পানির এক প্যাকেট ক্রুজার ঔষধ মিশেয়ে এক পোয়া পলিব্যাগে মাটি ডুকিয়ে প্রতি পলিতে একটি বীজ রোপন করা হয়, পলি রাখার স্থানটিতে প্রায় ৩ ফুট উচ্ছতা সম্পন্ন চাউনি দিয়ে ঢাকা হয় ২০ দিন পর চারা গজিয়েছে জমিতে রোপন করা শুরু হয়েছে।
কৃষক খলিল মিয়া আমাদের বলেন, চারা রোপনের উপযোগী জমি তৈরি করতে প্রথমে এক চাষ করে দুদিন পর আবার দুই চাষ করে মই দিয়ে সমান্তরাল অবস্থা তৈরি করতে হয়েছে, আগাছা পরিষ্কার করে তিন হাত দুরে দুরে গর্ত করে নয় ইঞ্চি পরিমান। চারা রোপন করছি।
তরমুজ চাষী মারুফ আহমেদ আফাজ, নাদিম, রুস্তম প্রমুখ কৃষক জানান, জীবনের প্রথম তরমুজ চাষ করতেছি প্রচুর খাটুনি তবু যদি ফলন ভালো পায় তবে আরো বহুগুনে বেড়ে যাবে হোসেনপুরে আশা করি তরমুজের আবাদ।
কৃষিকর্মকর্তাদের পরামর্শক্রমে জৈবসার কিংবা অন্যান্য সার প্রয়োগ করে চারা রোপন করা হচ্ছে। প্রতিটি তাকে তিনটি করে চারা ফেলে হালকা পানি দিচ্ছে শ্রমিকরা।
সিনজেন্টার কর্মকর্তা নাসির উদ্দীন জানান, তরমুজ চাষ একটি লাভবান চাষ, সিনজেন্টা কোম্পানি থেকে ড্রাগন সুপার নামে মানসম্মত ফলনের বীজ দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এ বছর ২০ (বিশ) একর জমিতে তাদের সুষ্ঠু তত্বাবধানে উপজেলায় ড্রাগন সুপার তরমুজ চাষের বীজতলা তৈরি হয়েছে। এখন চারা রোপনের উপযোগী হয়েছে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.