মধ্যপ্রাচ্যের দেশ দুবাইয়ে চার মাস আগে মারা যান নওগাঁর রানীনগর উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের এনায়েতপুর গ্রামের মৃত জামাল জদ্দারের ছেলে মিন্টু। তার মরদেহ এখনো সে দেশেই রয়েছে। অর্থের অভাবে মরদেহটি দেশে আনতে পারছে না তার দরিদ্র পরিবার।
পরিবারটির সদস্যরা জানায়, তিন বছর আগে কাশিমপুর চারাপাড়া গ্রামের মৃত অছির উদ্দিনের ছেলে অঞ্জুর মাধ্যমে জীবিকার তাগিদে দুবাইয়ে পাড়ি জমান মিন্টু।
সেখানে গিয়ে বুঝতে পারেন তিনি দালালের খপ্পরে পড়েছেন। এ সময় মানবেতর জীবন যাপন করতে থাকেন তিনি। এক পর্যায়ে অবৈধভাবেই তিন বছর ধরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন মিন্টু। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে হঠাত্ অসুস্থ হয়ে পড়লে দুবাইয়ে শেখ খলিফা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১ ফেব্রুয়ারি মারা যান তিনি। এরপর প্রায় চার মাস পার হলেও অর্থের অভাবে তার মরদেহ দেশে আনতে পারেনি তার পরিবার।
মিন্টুর স্ত্রী পারভীন আকতার বলেন, ‘আমার স্বামীকে দুবাই নিয়ে যান কাশিমপুর চারাপাড়া গ্রামের আদম ব্যাপারী অঞ্জু। কোনো কাগজপত্র না থাকায় অবৈধভাবেই ছিলেন তিনি।
আমার সঙ্গে প্রায় সাড়ে চার মাস আগে একবার কথা হয়েছিল। এর পর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় আর যোগাযোগ করতে পারিনি। গত ৯ মে আমরা জানতে পারি তিনি ফেব্রুয়ারি মাসে মারা গেছেন। আমাদের অভাবের সংসার। মরদেহ নিয়ে আসতে তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা খরচ পড়বে।
এত টাকা আমরা পাব কোথায়? এ জন্য সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতা কামনা করছি।’
কাশিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মকলেছুর রহমান বাবু বলেন, ‘ঘটনাটি জেনে মিন্টুর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেছি। আমার পরিষদের পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব পরিবারটিকে সহযোগিতার চেষ্টা করব।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাসসুম বলেন, ‘বিষয়টি আমি এই প্রথম জানলাম। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ আবেদন করলে আমার পক্ষ থেকে সহযোগিতার চেষ্টা করব।’
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.