ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্থদের কাছ থেকে বেসরকারি সংস্থা (এনজিও)-এর ঋণের সাপ্তাহিক কিস্তি আদায় ৬ মাসের জন্য বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে মোংলাবাসী। সোমবার (৩ জুন) দুপুর ১২টায় “ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত মোংলাবাসী”র ব্যানারে মোংলা উপজেলা চত্বরের প্রধান ফটকের পাশে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধনের পর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া সত্যজিৎ মন্ডল, জামাল হোসেন, এনামুল সরদার, এরশাদুজ্জামান সেলিমসহ অনেকে বলেন, বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিওর কাছে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে মৎস্য ও কৃষি চাষ করে আসছিলেন। কিন্তু হঠাৎ ঘূর্ণিঝড় রেমালে লন্ডভন্ড হয়ে যায় সব। রেমালের প্রভাবে পানিতে তলিয়ে যায় কয়েক তিন হাজেরর বেশি মাছের ঘের, ফসলি জমি পানিতে ভেসে যায়। একই সাথে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এ অবস্থায় চরম দূর্দাশার কথা চিন্তা করে ব্যাংক ও এনজিওর ঋণের কিস্তি ছয় মাস স্থগিতের দাবি করেন তারা। এছাড়া তারা লোন নেওয়া টাকার সুদও মওকূফেরও দাবি জানান।
পরে ক্ষতিগ্রস্থ প্রান্তিক কৃষক ও মাছ চাষিদের দাবির প্রতি একাত্নতা প্রকাশ করে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল হোসেন, পৌরসভার কাউন্সিলর মোঃ শরিফুল ইসলাম, সরোয়ার হোসেন ও সুন্দরবন ইউপি চেয়ারম্যন ইকরাম ইজারদার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন। উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ তরিকুল ইসলাম ইউএনও’র পক্ষে এই স্মারকলিপি গ্রহন করেন।
উল্লেখ্য, গত রবিবার (২৬ মে) ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে উপকূলীয় এলাকা মোংলায় ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে এখানকার প্রায় ৮ হাজার কাঁচা ও আধাপাকা ঘরবাড়ি, ব্যাপক গাছপালা বিধ্বস্তসহ বৈদ্যুতিক খুটি/পিলার পড়ে গেছে। ১০/১২ গ্রাম প্লাবিত হয়ে জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ। এছাড়া বিভিন্ন এলাকার প্রায় ২ হাজার চিংড়ি ঘের প্লাবিত হয়েছে বলে জানান উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অন্জন বিশ্বাস।
এ অবস্থায় মৎস্য চাষি ও প্রান্তিক কৃষকরা চরম ক্ষতিগ্রস্থের মুখে পড়েছেন। কারণ প্রায় সবাই ব্যাংক ও বিভিন্ন এনজিও সংস্থার কাছ থেকে ঋণ নিয়ে ফসল ও মাছ চাষের পেছনে লগ্নি করেন। কিন্তু প্রলয়ংকারি ঝড়ে সব ভেসে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.