কিশোরগঞ্জ

হোসেনপুরের মাঠে সোনা ফলিয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন

“কৃষিপ্রধান এই দেশ কৃষক তার প্রাণ,
ফসল ফলিয়ে মাঠে রাখছে অবদান।
সিরাজ উদ্দিনের শ্রম আর কলাকৌশল,
তাহার মাঠে দেখি কেবল ফসল আর ফসল।

মাহফুজ রাজার কাব্যের এই পঙতি গুলি জীবন্ত রুপ লাভ করেছে সিরাজ উদ্দিনের সোনা ফলানো মাঠ দেখে।

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সক্রিয় রাজনীতিবিদ সিরাজ উদ্দিন পাশাপাশি সফল কৃষক হিসেবে যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখছেন।

মেধা, যোগ্যতা আর আন্তরিকতা মানুষকে কতটুকু আত্মকর্মশীল হওয়ার স্বপ্ন দেখায় তার জীবন্ত উদাহরণ সিরাজ উদ্দিন। একজন সফল কৃষক হিসেবে এলাকায় ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছেন। শ্রমিকের সাথে নিজে মাঠে কোমর বেঁধে অংশ নিচ্ছেন ফসল ফলানোর। সেই কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠে কাজ করেন। কখনো হাতে কোদাল কখনো লাঙ্গলের ফলা, আর কখনোবা খেত নিড়ানি কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি।

উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের চর বিশ্বনাথ পুর গ্রামে তার বাড়ি। তিনি বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার সিদলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ছিলেন। অত্যন্ত সততা ও সুনামের সাথে সিদলা ইউনিয়নকে আধুনিক মডেল হিসেবে গড়ে তোলেন। এজন্য কুড়িয়েছেন প্রচুর সুনাম ও সুখ্যাতি। কিন্তু এ বছর জনগণের ব্যাপক চাহিদা থাকলেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি। মনোনিবেশ করেন কৃষি ক্ষেত্রে।

খুঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, সর্বোপরি মনন ও মেধায় তিনি একজন কৃতি ব্যাক্তি।
ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
সিরাজ উদ্দিন উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন বর্তমানেও তিনি আওয়ামীলীগের একজন সক্রিয় ত্যাগী নেতা জনগণের সুখে দুখে ছুটে চলেন এই নিবেদিত মানুষ।উচ্চ শিক্ষিত,সাবেক চেয়ারম্যান এসবের কোনো অপদাম্বিকতা তাকে স্পর্শ করতে পারেনি আপন গতিতে সর্বদা মন-প্রাণে মিশে চলেন মাটি ও মানুষের সাথে।

চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় বা বর্তমানে জনসেবার ফাঁকে বাকি যে সময়টা পান পুরুটায় বিলিয়ে দেন কৃষি কাজে। কৃষি কাজ করেই তিনি বেশ সফল। তিনি নিজের জমিতে একের পর এক ফসল আবাদ করে যাচ্ছেন। এতে রয়েছে তার ব্যাপক সফলতা। তিনি একজন সফল কৃষক। এমনটাই দাবি তার ও স্থানীয়দের।

সিরাজ উদ্দিন বলেন, কৃষি প্রধান দেশে কৃষি আমাদের উন্নয়নের চালিকা শক্তি। কৃষির উন্নয়ন হলে দেশের উন্নয়ন ঘটবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এক ইঞ্চি পরিমাণ জায়গা যাতে পতিত না থাকে সেই লক্ষ্যে নিজের জমি গুলোকে নিজ হস্তে আবাদ করছি। এতে একদিকে নিজে লাভবান হচ্ছি অপরদিকে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখবে বলে মনে করি।

সিরাজ উদ্দিন এর সাথে কথা বলে জানা যায়, এবার তিনি আলুর চাষাবাদ করেছেন ৬ একর জমিতে, ভুট্টা ৩ একর এছাড়াও বাদাম, মরিচ, মিষ্টি আলু, সরিষা করেছেন। ফলন অনেক ভালো হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ভালো ভাবেই ফসল ঘরে তুলতে পারবেন বলে আশাবাদী তিনি।

এম এ পাশ করেও মাটির বুক ছিরে সোনা ফলাচ্ছেন নিরহংকার সিরাজ উদ্দিন।

আগে শুধু ধান চাষাবাদ করলেও তিনি এখন সব ফসল ফলান। বর্তমান সময়ের কৃষি প্রযুক্তি তার কাছে খুবই সহজ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সিরাজ উদ্দিন বলেন, আলু উত্তোলনের পর ডাটা, লালশাক, ঢেড়স,এগুলো আবাদ করবো। আমি আশাবাদী আল্লাহর রহমতে আলুর ফলন ভালো হবে, এবং তা থেকে ৫ লক্ষ টাকা আয় হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, কৃষি কাজ অত্যন্ত লাভজনক পেশা। এখানে আত্মনিয়োগ করলে পরিবারের সচ্ছলতা ফিরে আনা সম্ভব। অনেক শিক্ষিত বেকার যুবকরা চাকরির আশায় ঘোরাফেরা করে। চাকরি না পেলেও বেকার যুবকদের হতাশাগ্রস্ত না হয়ে কৃষি কাজের পরামর্শ দিয়েছেন সিরাজ উদ্দিন।

উল্লেখ্যঃ সিরাজ উদ্দিন উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সফল ভাবে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন এবং বর্তমানেও পিতলগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ বারের মত সভাপতি (বর্তমানসহ তিনবার এডহক ও একবার নির্বাচিত)এছাড়াও চেয়ারম্যান থাকাকালীন অবস্থায় সিদলা ইউপির বলিষ্ঠ উন্নয়নের দাবিদার উল্লেখযোগ্য ব্রম্মপুত্র নদের বামতীরের প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ তারই প্রচেষ্টার ফসল)

সম্পর্কিত সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker