মাহফুজ হাসান,কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
ক্ষমা করা একটি মহৎ কাজ। জীবনে অনেকের উপরই অনেকের রাগ-ক্ষোভ কিংবা ঘৃণা থাকতে পারে, তারপরও যদি তাদেরকে ক্ষমা করা যায়, তাহলেই কিন্তু মহৎ ব্যক্তিতে পরিণত হওয়া সম্ভব।ক্ষমা করার গুণ রপ্ত করতে পারলে মন থেকে রাগ, আঘাত বা প্রতিশোধ নেওয়ার আকাঙ্ক্ষা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় ও মন ফুরফুরে থাকে।
৮ই সেপ্টেম্বর ক্ষমা দিবস,
প্রিয় বন্ধু, প্রিয়তম, প্রিয়তমা কিংবা প্রিয় স্বজনকে। ভুলগুলো মুছে দিয়ে পৌঁছে যাবার দিন হৃদয়ের গহীনে।মূলত যুক্তরাষ্ট্র ৮ সেপ্টম্বরে দিবসটি উদযাপন করে থাকে।
জানা যায়,ক্ষমার ওপর অনেক গবেষণার ফলাফলে জানা গেছে, এটি আমাদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত। বিশেষ করে মনোবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান ও ওষুধের ক্ষেত্রে।
এ ছাড়াও জানা যায়, ক্ষমার অনুশীলন করা মানুষরা মানসিকভাবে কখনো বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন না। যে কোনো মানসিক আঘাত তারা কাটিয়ে উঠতে পারে।পৃথিবীর সব ধর্মের অন্যতম প্রধান শিক্ষা এই ক্ষমা। সব ধর্মেই বলা হয়েছে মানুষকে ক্ষমা করার কথা।
সাংবাদিক মাহফুজ রাজা জানান,জেনে কিম্বা না জেনে আমাকে যারা আঘাত করেছে এ দিনটিই মনে করিয়ে দিলো তাই সবাইকে আমি ক্ষমা করে দিলাম আর কেউ যদি আমার দ্বারা জানা-অজানায় কষ্ট পেয়ে থাকে আমাকে যেন সবাই ক্ষমা করে দেন।
ন্যাশনাল টুডের সূত্রমতে-‘ক্ষমা’ শব্দটির কিছু আইনি ব্যাখ্যাও আছে। যেমন কোনো দেশের উচ্চ আদালত অপরাধীকে ক্ষমা করার মানে হলো তাকে অপরাধের শাস্তি থেকে মুক্তি দেওয়া। আর এখান থেকেই মূলত ক্ষমা দিবসের উৎপত্তি। ১৯৭৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ড আরেক প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনকে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। যেই ক্ষমাকে অত্যন্ত বিতর্কিত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল। কারণ নিক্সন মার্কিন ইতিহাসের কলঙ্কজনক ঘটনা ওয়াটারগেটের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সেখানেই ক্ষমা দিবসের উৎপত্তি।