ব্রাজিলিয়ান সমর্থকদের কাছে সেই রাতটি ছিল চরম দুঃস্বপ্নের। ৮ জুলাই, ২০১৪ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জার্মানির মুখোমুখি হয়েছিল পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু দুর্ভাগ্য সেলেসাওদের। বেলো হরিজোন্তের মিনেইরো স্টেডিয়ামে নেইমার-থিয়াগো সিলভাহীন সেই ম্যাচে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে হেরেছিল স্বাগতিক শিবির।
এর পর কেটে গেছে প্রায় ১১ বছর। গত এক দশকের বেশি সময় ধরে মজার ছলে বাংলাদেশী ফুটবল ভক্তরা ‘সেভেন আপ’ শব্দটি জুড়ে দিয়েছেন ব্রাজিলের নামের সঙ্গে। এর পর থেকেই ব্রাজিলের ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারের এই স্কোরলাইন যেন ফিরে ফিরে আসে।
কখনো মিম হয়ে, কখনোবা অন্য কোনো ম্যাচের ফলাফল এমন হলে। এমনকি কোনো দল ৭ গোল করলে কিংবা হজম করলেও ব্রাজিলিয়ানদের সেই পরাজয়ের ক্ষতচিহ্ন হয়ে সামনে আসে।
স্প্যানিশ লা লিগায় রবিবার বার্সেলোনাও সেই ব্রাজিলের সেভেন আপের স্মৃতি সামনে নিয়ে এলো। এদিন যে কাতালান ক্লাবটিও ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত করে ভ্যালেন্সিয়াকে। সেই সঙ্গে লিগে টানা চার ম্যাচ পর জয়ে ফিরেছে হ্যান্সি ফ্লিকের দল।
এই ম্যাচে জোড়া গোল করে দলের বড় জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন ফারমিন লোপেজ। শুধু তাই নয়? দুটি গোল নিজে করেই থেমে থাকেননি স্প্যানিশ মিডফিল্ডার। সতীর্থদের দিয়ে আরও দুবার ভ্যালেন্সিয়ার জালে বল জড়াতেও সহায়তা করেন লোপেজ।
নিজেদের মাঠ অলিম্পিক লুইজ কোম্পানিজ স্টেডিয়ামে রবিবার ভ্যালেন্সিয়াকে স্বাগত জানায় হ্যান্সি ফ্লিকের দল। স্প্যানিশ তরুণ লামিন ইয়ামালের সহায়তায় বার্সাকে প্রথম এগিয়ে দেন ফ্র্যাঙ্কি ডি জং। তার ৫ মিনিট পরই গোল ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কাতালানদের আরেক স্প্যানিশ তারকা ফেরান তোরেস।
১৪ মিনিটে বার্সার হয়ে স্কোরশিটে নাম লেখান দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রাফিনহা। রাফিনহার গোলে সহায়তা করেন ফারমিন লোপেজ। ঠিক ১০ মিনিট পর লোপেজ নিজেই বল জড়ান ভ্যালেন্সিয়ার জালে। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে লোপেজ তার ব্যক্তিগত দ্বিতীয় গোল করেন সহকারী ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে।
ততক্ষণে অবশ্য কাতালানদের বড় জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। কিন্তু সমর্থকদের প্রত্যাশা আরও বেশি থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোলের বেশি করতে পারেনি বার্সা। তাও আবার ৭৫ মিনিটে কাতালানদের শেষ গোলটি ছিল চিজার তারেগার আত্মঘাতী। এর আগে ৬৬ মিনিটে বদলি নামা রবার্ট লেভানডোস্কি করেন বার্সার ষষ্ঠ গোলটি। সফরকারীদের হয়ে হুগো ডুরো একমাত্র গোলটি করেন।