মাঠে খেললে খেলোয়াড়রা চোট পাবেন এটাই স্বাভাবিক। এ ক্ষেত্রে নেইমারও ব্যতিক্রম নন। তবে তার ক্যারিয়ারে চোখ বুলালেও দেখা যাবে সে অন্যদের থেকে ব্যতিক্রমই। তা না হলে এতবার চোট পেয়ে মাঠের বাইরে থাকতে হতো না ব্রাজিলের সুপার স্টারকে।চোটের সঙ্গে এতটাই সখ্যতা গড়ে উঠেছে নেইমারের মাঠের থেকে যেন মাঠের বাইরেই বেশি থাকছে তিনি।
আজ ফিরলেন তো কালকে আবার চোট পেয়ে মাঠের বাইরে ছিটকে গেলেন তিনি। এভাবে একের পর এক চোট পাওয়ায় চোখের জল ধরে রাখা তার জন্য মুশকিল। সেই মুশকিল কাজটা আবার করতে হয়েছে তাকে।তবে হাত দিয়ে মুখ ঢেকে চোখের পানি আটকানোর চেষ্টা করেও পারেননি ৩৩ বছর বয়সী স্ট্রাইকার। পারবেন কি করে?
ধৈর্যের বাঁধ যে তার ভেঙে গেছে!বাঁ পায়ের ঊরুর চোট কাটিয়ে গত রবিবার ফ্লুমিনেন্সের বিপক্ষে ছয় সপ্তাহ পর মাঠে ফিরেছিলেন নেইমার। আর আজ অ্যাথলেটিকো মিনেইরোর বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেই সেই ঊরুর চোটেই কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়লেন সান্তোসের স্ট্রাইকার। ম্যাচের ৩৪ মিনিটে যখন কার্টে করে মাঠ ছাড়ছিলেন পৃথিবীর সমস্ত হতাশা তাকে ঝেঁকে বসে।
উরুগুয়ের বিপক্ষে সেই ম্যাচটিই ছিল সেলেসাওদের বিপক্ষে খেলা শেষ ম্যাচ। এই চোটের কারণেই ১৮ মাসে মাত্র ৭ ম্যাচ খেলতে পেরেছেন সাবেক ক্লাব আল হিলালের হয়ে। পারষ্পারিক সমঝোতার ভিত্তিতে প্রিয় ক্লাব সান্তোসে ফিরেও সেই চোটেই কাবু হতে হচ্ছে তাকে।