২০১৮ সাল থেকে ফিফার আর্থিক নিষেধাজ্ঞায় ছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। সাত বছর পর গতকাল সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার খবরটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বাফুফের নতুন কমিটির জন্য এটা বেশ স্বস্তির খবর। এখন বাফুফে ফিফার অনুদান স্বাভাবিক কিস্তিতে পাবে। পাশাপাশি উন্নয়নমূলক আরও অনেক কর্মসূচিতে আবেদনের সুযোগ বাড়বে।
অনুদান অতিরিক্ত কিস্তিতে পেলেও নিষেধাজ্ঞার কারণে সেটা ছিল ফেডারেশনের জন্য অসম্মানের। বাফুফের আয়ের সিংহভাগ আসে ফিফার ফান্ড থেকে। সেই ফান্ডের অর্থ ব্যয়ে নির্দেশনা না মানায় ফিফা বাফুফেকে অর্থ ছাড়করণ করত বেশি কিস্তিতে। বাফুফেকে পর্যবেক্ষণের পর ফিফা সেই অর্থ ছাড়করণের শিথিলতা প্রত্যাহার করেছে।
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য কাজ করে যেতে থাকে বাফুফে। বিশেষ করে সভাপতি তাবিথ আউয়াল এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করেন। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ফিফা ফান্ডের অডিটের জন্য ফিফার প্রতিনিধি দল এসেছিল।
বাফুফের ধারণা ছিল, মার্চের মাঝামাঝি সময়ে ফিফা থেকে একটি সংবাদ পাবে। প্রত্যাশিত সময়ের এক সপ্তাহ আগেই বাফুফে সেই খবর পেল। ঢাকায় আসা প্রতিনিধি দলের প্রতিবেদনের ওপরই মূলত ফান্ড ছাড়করণের শিথিলতা সরেছে বাফুফের ওপর থেকে।