পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিলের আহ্বানে ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট বিএনপি-জামাতের প্রত্যক্ষ মদদে সংঘটিত জঙ্গি সিরিজ বোমা হামলার দোষীদের শাস্তির দাবিতে দেশব্যাপী কালো পতাকা প্রদর্শন, মানববন্ধন, পথসভা ও প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল সিলেটে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় অংশগ্রহণের পূর্বে সকাল সাড়ে ৯টায় নরসিংদী জেলা যুবলীগের উদ্যোগে প্রতিবাদী পথসভায়, ১১টায় আশুগঞ্জে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবলীগের প্রতিবাদী পথসভায় এবং দুপুর আড়াইটায় শায়েস্তাগঞ্জে হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগের উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিবাদী পথসভায় অংশগ্রহণ করেন। উক্ত প্রতিবাদী পথসভাগুলোতে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২০০৫ সালের আজকের এইদিনে তৎকালীন বিএনপি-জামাত জোট সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে দেশব্যাপী একযোগে ৬৩ জেলায় ৫ শতাধিক স্থানে জঙ্গি সিরিজ বোমা হামলা করা হয়। স্তব্ধ হয়ে যায় গোটা দেশ। সেই অন্ধকার বাংলাদেশকে আলোর পথে এনেছেন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। এখন ওই জঙ্গিদের মদদদাতা খালেদা-তারেক দেশকে আবারও অন্ধকারে ডুবিয়ে দেবার ষড়যন্ত্রে মত্ত। যুবলীগের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ আছে, ঐক্যবদ্ধ থেকেই ওই জঙ্গিবাদীদের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে, সোচ্চার হতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি-জামাত বাংলাদেশকে বোমাবাজির দেশে পরিণত করেছিল বলেই বাংলাদেশের জনগণ বিএনপি-জামাতকে প্রত্যাখ্যান করেছে। জনগণ থেকে বিচ্যুত হয়ে ওরা দেশধ্বংসের ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। ওদেরকে প্রতিহত করতে যুবলীগের নেতাকর্মীরাই যথেষ্ট; তার জন্য দরকার ঐকবদ্ধ থাকা। এসব পথসভাগুলো থেকে ২০০৫ সালের ১৭ই আগস্ট বিএনপি-জামাত কর্তৃক সংঘটিত সিরিজ বোমা হামলার দোষীদের অবিলম্বে বিচার করে শাস্তির দাবি জানানো হয়।
এসব পথসভায় আরো বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম মেম্বার অ্যাড. মামুনুর রশীদ, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন,যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সোহেল পারভেজ, ড. রেজাউল কবির, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. শামসুল আলম অনিক, উপ-মুক্তিযোদ্ধা সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া শামীম, উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফজলে রাব্বি স্বরণ, সহ-সম্পাদক মো. আবদুর রহমান জীবন, আরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ আওয়ামীত যুবলীগ এর কার্যনির্বাহী সদস্য ইঞ্জি. মুক্তার হোসেন কামান, অ্যাড. মো. গোলাম কিবরিয়া, নুরুল ইসলাম নুর মিয়া, নুর হোসেন সৈকত, গাজী মো. শাহেদ, মোবাশ্বের হোসেন স্বরাজ প্রমুখ।
এদিকে রাজধানীর ফার্মগেট সংলগ্ন আনন্দ সিনেমা হল সম্মুখে দুপুর ১২টায় ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন এর সঞ্চালনায় প্রতিবাদী মানব বন্ধন ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য তাজউদ্দীন আহমদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন পাভেল প্রমুখ।
এ ছাড়া দুপুর ১১টায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনউদ্দিন রানার সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজার সঞ্চালনায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের উদ্যোগে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, গুলিস্তানে প্রতিবাদী মানববন্ধন ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য তাজউদ্দীন আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত প্রমুখ।
এ ছাড়া রাজধানীতে পুলিশের ওপর বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ যুবলীগ তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ মিছিল বের করে।
২০০৫ সালের ১৭ই আগস্টের সিরিজ বোমা হামলার দোষীদের শাস্তির দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে যুবলীগের প্রতিটি সাংগঠনিক ইউনিট প্রতিবাদী মানববন্ধন, পথসভা ও কালো পতাকা প্রদর্শন কর্মসূচি পালন করে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts sent to your email.