ঢাকায় গ্রেপ্তার কুষ্টিয়ার ৩ আ. লীগ নেতা কারাগারে: হত্যা মামলা সহ একাধিক অভিযোগ
কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগের কুষ্টিয়ার দুই নেতাসহ তিনজনকে হত্যা মামলা ও নাশকতার অভিযোগে ঢাকায় গ্রেপ্তার করে আদালত মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে; ৫ আগস্টের পরের হত্যা মামলায় একজন এজাহারনামীয় আসামি।
কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কুষ্টিয়ার তিন নেতাকে হত্যা মামলা ও নাশকতার অভিযোগে ঢাকায় গ্রেপ্তার করে আদালত মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ রবিবার (১৮ মে) পুলিশ তাদের কুষ্টিয়া সদর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে শুনানি শেষে বিচারক তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গ্রেপ্তার ও আইনি প্রক্রিয়া
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন খবর ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে গতকাল শনিবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ওই তিনজনকে আটক করা হয়। এরপর রাতেই তাদের কুষ্টিয়া সদর মডেল থানায় নেওয়া হয় এবং সেখানে বিভিন্ন মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আজ রবিবার দুপুরে কুষ্টিয়া সদর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের হাজির করা হলে শুনানি শেষে বিচারক তিন জনকেই **কারাগারে পাঠানোর আদেশ** দেন। বিকেল ৪টার দিকে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া আদালতের পরিদর্শক জহুরুল ইসলাম।
আটককৃত ৩ জন:
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—
- সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ওমর ফারুক (৪৭),
- পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও পৌরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মীর রেজাউল ইসলাম বাবু (৫৫),
- ও পৌর যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আশরাফুজ্জামান সুজন (৪৬)।
মামলার বিবরণ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর গত বছরের ১৫ আগস্ট কুষ্টিয়া মডেল থানায় দায়ের হওয়া একটি হত্যা মামলায় মীর রেজাউল ইসলাম বাবু এজাহারনামীয় আসামি। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) খাইরুজ্জামান বলেন, “রেজাউল ইসলামকে পাঁচ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। পরে শুনানি হবে।” তাকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে নেওয়া হয়।
অপরদিকে, চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল কুষ্টিয়া মডেল থানায় নাশকতার অভিযোগে বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে বিএনপির কর্মী ইমন আলী পরিচয়ে এক ব্যক্তি একটি মামলা করেন। ওই মামলায় ওমর ফারুক ও আশরাফুজ্জামান সুজনকে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং তাদেরকে আদালতে নেওয়া হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদেরকে আটকের ঘটনা এবং পরবর্তীতে মামলাগুলোতে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে প্রেরণের বিষয়টি রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা তৈরি করেছে। মীর রেজাউল ইসলামের রিমান্ড আবেদনের শুনানি পরবর্তীতে অনুষ্ঠিত হবে।