জাতীয়

স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা স্বীকার করলেন জয়

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)-এর তদন্তে এ তথ্য উঠে এসেছে। রিপোর্ট নিয়ে নানামুখী আলোচনার মধ্যেই নিজের অবস্থান তুলে ধরে জয় স্বীকার করেছেন, স্ত্রীর সঙ্গে তার তিন বছর আগেই বিচ্ছেদ হয়েছে।

যদিও এই খবর সবারই জানা ছিল। কিন্তু স্বৈরাচারি হাসিনার শৃঙ্খলে হাতবাঁধা থাকার দেশের কোনো মিডিয়াই সে খবর প্রকাশ বা প্রচার করার সাহস করেনি।

গত সোমবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে নিজের বিচ্ছেদের কথা স্বীকার করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘ক্রিস্টিন এবং আমি আর একসঙ্গে নেই।

আমরা প্রায় তিন বছর আগে আলাদা হয়েছি।’ জয় দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)-এর তদন্ত রিপোর্টটি ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে ভরা।

তবে তাদের অসাবধানতা ও বোকামির কারণে রিপোর্টটির মিথ্যা প্রমাণ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। রিপোর্টে কয়েকটি গুরুতর ভুল রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। অন্তর্বর্তী সরকার তার এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন জয়।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার সাবেক আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের মালিকানায় আছে বিলাসবহুল আটটি গাড়ি। এ ছাড়া পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে।

তদন্তে ম্যাসাচুসেটস ও ভার্জিনিয়ায় সজীব সজীবের স্ত্রী ক্রিস্টিন এবং ওয়াজেদের সঙ্গে সন্দেহজনক ব্যাংক কার্যক্রমের তথ্যও পাওয়া গেছে বলেও উল্লেখ করা হয়।

জয় তার ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ‘ক্রিস্টিন এবং আমি আর বিবাহিত নই। আমরা প্রায় তিন বছর আগে আলাদা হয়েছি এবং আমাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে।’

২০২৩ সালের ২৩ এপ্রিল মার্কিন বিচার বিভাগের অপরাধ বিভাগের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে এফবিআই এসব তথ্য উল্লেখ করে প্রতিবেদন জমা দেয়। ওই প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি গত ডিসেম্বরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পেয়েছে বলে সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

জয়ের দাবি, তারা যে এফবিআই এজেন্টের নাম উল্লেখ করেছে, তিনি বহু বছর আগে এফবিআই থেকে অবসর নিয়েছেন। যাকে জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট এর আইনজীবী বলে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি ২০১৩ সালে মারা গেছেন। এ ছাড়া আমার নামে যে গাড়িগুলোর তালিকা দেখানো হয়েছে, সেগুলো আমি ২০ বছরেরও বেশি সময় আগে কিনেছিলাম।

একটি বাদে বাকি সব কটি গাড়ি ইতোমধ্যে বিক্রি করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা কখনো কোনো সরকারি প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না বা তা থেকে অর্থ উপার্জন করিনি। অবশ্যই এ দুই দেশে আমাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তবে আমাদের কোনো অফশোর অ্যাকাউন্ট নেই। যে পরিমাণ অর্থের কথা বলা হচ্ছে, তা আমরা কেউ কখনো দেখিনি।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker