জাতীয়

কবে হতে পারে জাতীয় নির্বাচন

অন্তর্বর্তী সরকারের বয়স যত বাড়ছে, নির্বাচনের দাবি ততই প্রকট হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকেও চাপ বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে কবে হতে পারে জাতীয় নির্বাচন? গত ২৪ সেপ্টেম্বর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের ওয়েবসাইটে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের একটি বিশেষ সাক্ষাৎকার প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হয়।

তাতে বলা হয়, গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার সম্পন্ন করে ১৮ মাস বা দেড় বছরের মধ্যে নির্বাচনের লক্ষ্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারকে যেকোনো পরিস্থিতিতে পূর্ণ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

এরপর গত ১৭ অক্টোবর চ্যানেল আইয়ের ‘আজকের পত্রিকা’ অনুষ্ঠানে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, আগামী বছরের মধ্যে নির্বাচন করাটা হয়তো সম্ভব হতে পারে।’

গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় নির্বাচনের একটি সম্ভাব্য সময় তুলে ধরেন।

তিনি চলতি বছরের শেষ দিকে বা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচনের কথা বলেন। পরদিন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব জানান, ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে।

বিজয় দিবসে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের পর নির্বাচন কমিশন জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বলে জানায়। গত ১৭ ডিসেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে কমিশন। প্রধান উপদেষ্টা বা অন্তর্বর্তী সরকার যখন চাইবে তখনই নির্বাচন করতে প্রস্তুত ইসি।’

ওই দিন সিইসি আরো বলেন, ‘মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের যে ইন্ডিকেশন দিয়েছেন সেটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন তিনি স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়ে কোনো কিছু বলেননি।

আমাদের যারা স্টেকহোল্ডার,  রাজনৈতিক দল—তারাও সংসদ নির্বাচনের কথা বলেছে। তারা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তাস্তরের কথা বলেছে। কাজেই আমরা সংসদ নির্বাচনের কথা ভাবছি।’

নির্বাচন কমিশন বাড়ি বাড়ি গিয়ে সম্ভাব্য  নতুন ভোটার এবং বাদ পড়াদের তথ্য সংগ্রহের সময়ও এগিয়ে এনেছে। নির্বাচন কমিশন থেকে আগে বলা হয়েছিল, ২০২৫  সালের ২ মার্চের পর থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এই তথ্য অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন ২০২৬ সালের ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে।

গত ২ ডিসেম্বর  নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের এই পরিকল্পনার কথা জানান। কিন্তু গত ৫ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের এক পরিপত্রে জানানো হয়, ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সারা দেশে টানা দুই সপ্তাহ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারযোগ্যদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি বছরই জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাবনা থেকে নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে রাখতে চায়।

Author

সম্পর্কিত সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এছাড়াও পরীক্ষা করুন
Close
Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker