জাতীয়

ইয়াবা কারবারে সাবেক এমপি বদির দুই ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে সিআইডি

কক্সবাজারে ইয়াবা কারবারে সাবেক বিতর্কিত সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির দুই ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। কক্সবাজারের ১০ মাদক গডফাদারের মামলা তদন্ত করতে গিয়ে তাদের সংশ্লিষ্টতা মিলেছে বলে জানায় সংস্থাটি।

রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির কার্যালয়ে বুধবার দুপুরে ‘সিআইডির জালে মাদকের গডফাদাররা : বিপুল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন সংস্থাটির প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া।

সিআইডি প্রধান জানান, ১০ মাদক মামলায় মাদকের গডফাদারদের গাড়ি, বাড়ি, জমি, ব্যাংকে থাকা টাকা ক্রোক করা হয়েছে। এসব মামলা ২০১৭ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, সিআইডিই প্রথম মাদক সম্পৃক্ত মানিলন্ডারিং মামলার তদন্তে গভীরে প্রবেশ করে মাদক ব্যবসায়ী ও গডফাদারদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে এবং তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও ব্যাংকে থাকা অর্থ ফ্রিজ করতে সক্ষম হয়েছে।

মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, ‘মাদক মামলার মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে টেকনাফের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির দুই ভাই আমিনুর রহমান ও আব্দুর শুক্কুরের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি। বদির বিরুদ্ধেও যদি আমরা সাক্ষ্য-প্রমাণ পাই, তাহলে ছাড় দেওয়া হবে না। যার বিরুদ্ধেই তথ্য-প্রমাণ পাব, ধরা হবে, ছাড় দেওয়া হবে না।’

Image

সিআইডিপ্রধান বলেন, ‘কক্সবাজারে পর্যায়ক্রমে মাদকের সব গডফাদারদের আইনের আওতায় আনা হবে। মাদক ব্যবসায় যারা অবৈধভাবে সম্পদ ও অর্থ বিত্তের মালিক হয়েছেন, তাদের অবৈধ সম্পদ আইনি প্রক্রিয়ায় সরকারি কোষাগারে চলে যাবে। দেশপ্রেমিক নাগরিকদের প্রতি মাদক গড ফাদারদের তথ্য সিআইডিকে দেওয়ার অনুরোধ করা যাচ্ছে।’

২০২১ সালে ৭৯ হাজার ৬৭৫টি, ২০২২ সালে ৮২ হাজার ৬৭২টি এবং ২০২৩ সালে ৭৬ হাজার ৪০৩টি মাদক মামলা রুজু হয়েছে। বাংলাদেশে গড়ে প্রতিবছর প্রায় ৮০ হাজার মাদক উদ্ধার সংক্রান্ত মামলা হয়।

মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে সিআইডি ৩৫টি মামলা তদন্ত করে মামলার মূল হোতা বা গডফাদারদের মাদক ব্যবসা থেকে অবৈধভাবে অর্জিত ব্যাংক একাউন্টে জমা করা অর্থ, কেনা জমি, বাড়ি ও ফ্ল্যাটসহ পাচার করা বিভিন্ন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির সন্ধান পায়। এসব মামলায় অবৈধভাবে অর্জিত অর্থের পরিমাণ প্রায় ১৭৮ দশমিক ৪৪ কোটি টাকা।

সিআইডি ইতোমধ্যে ৩৫ মামলার মধ্যে তিনটি মামলায় গডফাদারদের ৯ দশমিক ১৪ একর জমি ও দুটি বাড়ি (আনুমানিক মূল্য ৮ দশমিক ১১ কোটি টাকা) ক্রোক করেছে। এছাড়া মাদক সংক্রান্ত মানিলন্ডারিং বিভিন্ন মামলায় ব্যাংকে গচ্ছিত ১ কোটি ১ লাখ ২৩ হাজার ৪২৫ টাকা ফ্রিজ করেছে সিআইডি। আরও ৩৫ দশমিক ১৭৩ একর জমি, ১২টি বাড়ি ও একটি গাড়ি (আনুমানিক মূল্য ৩৬ দশমিক ৮২ কোটি টাকা) ক্রোকের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker