ছাত্র-জনতার তীব্র গণআন্দোলনের মূখে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাবার পর দেশে আটকে পড়া তার মন্ত্রীসভার সদস্যরা হয়েপড়েন দিশেহারা। রাজধানীর হেয়ার রোড ও মিন্টু রোডের সরকারি বাসা-বাড়ি ছেড়ে তারা ৫ আগষ্টই চলেগেছেন আত্মগোপনে। বাড়ি এবং মিনিস্টার এপার্টমেন্টগুলোতে নেই মন্ত্রীদের স্বজন এমনকি ব্যক্তিগত কর্মচারিরাও।
মন্ত্রীপাড়া ঘুরে দেখা যায় একদমই সুনশান নিরব, নেই কোন নিরাপত্তা কর্মীও। এমন সুযোগ কাজে লাগিয়ে মন্ত্রীদের বাড়ি ও এপার্টমেন্টের দামি আসবাবপত্র নিয়ে যাচ্ছে কে বা করা! প্রধানন্ত্রীর গণভবনের মতো সব লন্ডবন্ড না হলেও মন্ত্রী পাড়ার সরকারি মালামাল রেহাই পায়নি লুটেরাদের হাত থেকে। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের সরকারি বাসভবন থেকে আসবাপত্র সরিয়ে নিতে দেখাযায় কয়েকজনকে।
বাংলাভিশনের ক্যামেরা দেখে আঁতকে ওঠেন লুটপাটকারিরা, কয়েকজন আড়লে চলেযান। কারা নিচ্ছে এই মালামাল? তার কোনো সঠিক উত্তরও পাওয়া যায়নি।
এলাকাটিতে দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর টিমকে অবহিত করাহলে তারা উপস্থিত হন ঘটনাস্থলে। লুটেরাদের কাছে আসবাপত্র সরানোর ব্যাখা জানতে চাওয়ায় রিতিমত হিমশিম খেয়ে তারা একজন দুষেন অন্যজনকে।
জেরার মুখে তারা স্বীকার করে এই চৌয্যবৃত্তির সঙ্গে জড়িত পিডব্লিউডি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পুলিশের কয়েকজন সদস্য। বাংলাভিশনের ক্যামেরা ঘটনাস্থলে যাবার আগেইি পিকাপ, কাভার্ডভ্যান ও ট্রাকে বেশ কিছু মালামাল সরানো হয়। যার মধ্যে থাকতে পারেন অনেক মূল্যবান সম্পদও।
রাষ্ট্রের সম্পদ রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন উপস্থিত জনতা।