Site icon MIssion 90 News

ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে বাড়ির পথে কর্মজীবি মানুষ

ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে বাড়ির পথে মানুষ। চন্দ্রা ত্রিমোর বাসস্ট্যান্ডে ও ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। সেক্ষেত্রে যথেষ্ট পরিমানও নেই যানবাহন। এদিকে নির্দিষ্ট গন্তব্যের বাস না পেয়ে অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাস ট্রাক এবং মিনি ট্রাকের ছাদে করে অনেক গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন।

সোমবার সকালে ষষ্ঠ দিনের ঈদ যাত্রায় গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা, কালিয়াকৈর চন্দ্রা এলাকায় প্রচণ্ড যাত্রীর চাপ লক্ষ্য করা গেছে।যাত্রীদের তুলনায় যানবাহনে সংকট দেখা গেছে। এদিকে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের দুর্ভোগ ও অপ্রীতিকর ঘটনা ও বিশৃঙ্খলা এড়াতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ কর্তৃপক্ষ।

এদিকে মহাসড়কে নতুন সড়ক বিভাজনের ও দুই পাশেই লোহার নিরাপত্তা বেষ্টনীর কারণে চন্দ্রার দুই দিকে প্রায় দুই কিলোমিটার সড়ক ঘুরে গন্তব্য স্থানে পৌঁছাতে যানবাহনে উঠতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সাধারণ ভুক্তভোগী যাত্রীরা। অপরদিকে বাস কাউন্টার গুলোতে অতিরিক্ত বাস ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছেন অনেকেই। সোলায়মান আলম বলেন আগে টিকেটের মূল্য ছিল ৫০০ টাকা সেই বাসের টিকিট বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকা আমরা নিম্ন আয়ের মানুষ এতো বেশি ভাড়া থাকলে আমরা গ্রামের বাড়িতে যাবো কেমনে।

নাজমুল হোসেন, জুনায়েদ আহমেদ, রিয়াদ মোল্লা জানান মহাসড়কের মাঝখানে নতুন সড়ক বিভাজন ও দুই পাশের লোহার বেষ্টনী থাকার কারণে অনেক দূর করে বাসে উঠতে হচ্ছে যার কারণে সাথে থাকা লাগেজ মালপত্র নিয়ে আমাদের যেতে খুব কষ্ট হচ্ছে। এদিকে পুরুষ এর চেয়ে অধিকাংশ নারী ছাত্রীরা পড়েছেন ভোগান্তিতে। বিশেষ করে সাথে থাকা ব্যাগ ও লাগেজ নিয়ে মহাসড়কে পারাপারে নির্দিষ্ট জায়গায়ই বাহিরে ফুটওভারব্রিজ থাকায় ভোগান্তিতে সৃষ্টি হয়েছে।

তবে যাত্রীদের নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছাতে এবং কোন অপ্রীতিকর ঘটনা রাতে পুলিশের পাশাপাশি থানা পুলিশ এবং সাদা পোশাকে পুলিশ যাত্রীদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে।

নাওজোর হাইওয়ে পুলিশের ওসি শাহাদাত হোসেন বলেন যানজট এরাতে এবং যাত্রীদের নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পুলিশ প্রদান করা হয়েছে সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি টকিং ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে।

Exit mobile version