চীন থেকে দেশে আসছে আরো ১৭ লাখ টিকা। আজ মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) সকালে এসব টিকা নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছে একটি ফ্লাইট। কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় চীন বাংলাদেশকে এই টিকা পাঠাচ্ছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশে চীনা দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন হুয়ালং ইয়ান মঙ্গলবার সকালে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, কোভ্যাক্সের আওতায় সিনোফার্মের ১৭ লাখ টিকা নিয়ে একটি ফ্লাইট বেইজিং থেকে ভোর ৫টা ২৫ মিনিটে বাংলাদেশের উদ্দেশে ছেড়েছে। সকালের মধ্যেই এই টিকা ঢাকায় পৌঁছবে।
এ ছাড়া চীন এবং বাংলাদেশ শিগগিরই টিকার যৌথ উৎপাদনে যাবে বলেও ওই পোস্টে উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে, নভেল করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) মোকাবেলায় জরুরি সহায়তা হিসেবে বাংলাদেশকে এক কোটি ১৪ লাখ মার্কিন ডলার দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস গতকাল সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায়। দূতাবাস জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া এই সহায়তা জীবনরক্ষাকারী মেডিক্যাল সরঞ্জাম ও অক্সিজেন সরবরাহ এবং দেশজুড়ে কার্যকর কভিড-১৯ টিকা প্রচারাভিযানের জাতীয় প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশকে কভিড পরিস্থিতি মোকাবেলায় সহায়তা করবে। এ ছাড়া নতুন এই সহায়তা বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণ কমানোর লক্ষ্যে গৃহীত প্রতিরোধ কার্যক্রম জোরদার করতে সাহায্য করার পাশাপাশি দেশব্যাপী ক্রমবর্ধমান কভিড সংক্রমিতদের মানসম্মত চিকিৎসা প্রদান ও সেবা-যত্নের মান বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বলেন, ‘ঐতিহাসিক আমেরিকান উদ্ধার পরিকল্পনার মাধ্যমে দেওয়া এই বর্ধিত অনুদান বাংলাদেশকে কভিড মোকাবেলায় আমাদের দেওয়া চলমান সহায়তারই অংশ। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কভিড-১৯ মোকাবেলা কার্যক্রমে সহায়তাকারী সর্ববৃহৎ দাতা দেশ।’
রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার আরো বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে পাঁচ দশক ধরে ঘনিষ্ঠ অংশীদার হিসেবে কাজ করে আসছে। মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে এই বিশেষ চ্যালেঞ্জিং মুহূর্তে আমাদের অংশীদারি অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts sent to your email.