(ইউএনবি) — ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মশা নিয়ন্ত্রণে জরুরি পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে করা এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে রবিবার বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি ফাতেমা নজিবের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তানভির আহমেদ।
পরে তানভির আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, ২০১৯ সালের ১২ মার্চ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মশা নিধনে কর্তৃপক্ষের অবহেলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুলে মশা নিধনে কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণ জানাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
তিনি আরও জানান, সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে “হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মশা” নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ পায়। প্রতিবেদন সংযুক্ত করে ওই রিটে একটি সম্পূরক আবেদন করা হয়। ওই আবেদন শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন আদালত। আদালত আদেশ বাস্তবায়ন বিষয়ে আগামী ১০ দিনের মধ্যে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যানকে একটি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলেছেন।
২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মশা নিধনে সংশ্লিষ্টদের একটি আইনি (লিগ্যাল) নোটিশ পাঠান আইনজীবী মো. তানভির আহমেদ। ওইসময় আইনজীবী তানভির আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, “আমার দাদিকে নিয়ে টিকিট কেটে দর্শনার্থী হিসেবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভেতরে প্রবেশ করি। ওইদিন রাত ১০টার দিকে সেখানে অবস্থানকালে অনেক দেশি-বিদেশি বিমানযাত্রীকে মশার আক্রমণের শিকার হতে দেখি। শাহজালাল বিমানবন্দর দেশের সুনামকে প্রতিনিধিত্ব করে। অথচ কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও উদাসীনতায় বিমানবন্দরের ভেতরে মশার তীব্রতা বেড়েই চলছে। এরপর মশা নিধনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠাই। নোটিশ পাওয়ার নির্দিষ্ট তিনদিনের মধ্যে বিমানবন্দরের ভেতর মশা নিধনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের বলা হয়। কিন্তু নোটিশের জবাব না পেয়ে ২০১৯ সালের ৩ মার্চ প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট করি। রিট আবেদনটির প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ১২ মার্চ হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুল জারি করেন।
রুলে শাহজালাল বিমানবন্দরে মশা নিধনে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়। পাশাপাশি মশা নিধনে কেন জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছিল। বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিমানবন্দর সংলগ্ন ওয়ার্ড কমিশনারকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts sent to your email.