দেশের কোথাও যেন শহীদ মিনার ভাঙচুর না হয়, সেজন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আজ রোববার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন র্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
তিনি বলেন, ‘শহীদ মিনার ভাঙচুর প্রতিরোধে সারাদেশে র্যাবের একাধিক টিম মোতায়েন রয়েছে। আমরা সবসময় এটি মনিটরিং করছি।’
র্যাব মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ সারাদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। র্যাবের বিভিন্ন ব্যাটালিয়ন তাদের নিজ নিজ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এবং যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক থাকবে, টহল থাকবে ও সাদা পোশাকে সারাদেশে র্যাবের সদস্যরা মোতায়েন থাকবে। অগ্রিম ব্যবস্থা হিসেবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ আশেপাশের এলাকা ও সারাদেশে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সাদা পোশাকে র্যাবের সদস্যরা মোতায়েন রয়েছে।’
এসময় চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতে র্যাবের টহল দলে থাকবে ৩৬টি পিকআপ (ভিভিআইপি স্কর্ট) ও ২০টি মোটরসাইকেল, একটি কন্ট্রোল রুম, ৫০টি সিসি ক্যামেরা ও একটি এলইডি প্যানেল। এ ছাড়া, ২টি অবজারভেশন পোস্ট, ২টি করে বোম্ব ও ডগ সুইপিং দল রাখা হবে। ২৩০টি গোয়েন্দা ও ২৪টি স্পেশাল ফোর্সও থাকবে।
র্যাবের মহাপরিচালক আরও জানান, দিবসের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঢাকার ভেতরে ৩২৩টি টহল দলে থাকবেন ১ হাজার ২২২ র্যাব সদস্য। ঢাকার বাইরে ৩৭৭টি টহল দলে থাকবেন ১ হাজার ৬০৪ র্যাব সদস্য। সব মিলিয়ে সারা দেশের ৭০০টি টহল দলে সর্বমোট মোতায়েন থাকবেন ২ হাজার ৮২৬ র্যাব সদস্য।
পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় ৩ শিফটে ৬ স্তরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে পুলিশ। প্রতিটি প্রবেশ পথে চেকপোস্ট ও ভেতরের এলাকায় ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানো থাকবে। ইউনিফর্মধারী সদস্যের পাশাপাশি সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এ ছাড়া, বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট, ডিবি, র্যাব ও সোয়াত টিম দায়িত্ব পালন করবে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts sent to your email.