পাবনার ঈশ্বরদীতে ফিল্মি স্টাইলে অপহরণের তিনদিন পর ২৫ বছর বয়সী হৃদয় হোসেনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। কিছু বুঝে ওঠার আগেই প্রকাশ্যে মাইক্রোতে তুলে তাকে অপহরণ করা হয়।
সোমবার রাতে উপজেলার দাশুড়িয়া নওদাপাড়া থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত হৃদয় উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের নতুন রূপপর গ্রামের মজনু আলীর ছেলে।
নিহতের স্বজনরা জানান, ১০ ডিসেম্বর সকাল ৯ টার দিকে পাকশী ইউনিয়নের রূপপুর তিনবটতলা এলাকা থেকে হৃদয়কে প্রকাশ্যে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। পরে অপহরণকারীরা হৃদয়ের মোবাইল ফোন থেকে কল দিয়ে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
হৃদয়ের ভাই জীবন হোসেন জানান, শুক্রবার সকালে দোকানে আসার পরপরই একটি সাদা মাইক্রোবাস থামে। সেখানে উপস্থিত লোকজন কিছু বুঝে ওঠার আগেই ফিল্মি স্টাইলে হৃদয়কে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে পাবনার দিকে চলে যায় কয়েকজন লোক। এ ঘটনার পরপরই ঈশ্বরদী থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়।
অপহৃত হৃদয়ের বাবা মজনু আলী বলেন, অপহরণের পর শুক্রবার বিকেলে একবার আমার ছেলের মোবাইল থেকে কল করে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহরণের দিনই থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলাম। চারদিন পর তার লাশ পেলাম।
পাকশী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আতিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর যুবককে উদ্ধারে আমাদের জোর প্রচেষ্টা ছিল। সোমবার রাতে মুক্তিপণের দাবি করা টাকা নিতে আসা অপহরণকারী চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দাশুড়িয়া-লালন শাহ সেতুর মহাসড়কের নওদাপাড়া দোতলা মসজিদ সংলগ্ন চাঁদ আলী নামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে হৃদয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়। চক্রটি ওই বাড়িটি ভাড়া নিয়ে তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিল।
ঈশ্বরদী থানার ওসি আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, লাশটি থেকে গন্ধ ছড়িয়েছে। তাই অনুমান করা হচ্ছে অপহরণকারীরা হয়তো অপহরণের এক-দুদিন পরেই হৃদয়কে খুন করে। একজন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।