জাতীয়

ফেসবুক-ইউটিউব-গণমাধ্যমে আওয়ামী লীগের প্রচারণা নিষিদ্ধ

অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ অনুযায়ী আওয়ামী লীগের সকল প্রকার কার্যক্রম, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণাসহ জনসমক্ষে বক্তৃতা প্রদান নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের পর রবিবার (১১ মে) সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদনে স্বাক্ষর করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। নতুন এই অধ্যাদেশের আওতায় দলটির সকল প্রকার কার্যক্রম ও প্রচারণা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ রবিবার বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এই অনুমোদন প্রসঙ্গে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি বলেন,

আওয়ামী লীগের পক্ষে বা সমর্থনে কোনো প্রেস বিবৃতির প্রকাশনা বা মুদ্রণ কিংবা গণমাধ্যম, অনলাইন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে যেকোনো ধরনের প্রচারণা, অথবা মিছিল, সভা-সমাবেশ বা সংবাদ সম্মেলন আয়োজন বা জনসমক্ষে বক্তৃতা প্রদান নিষিদ্ধ করবে।

এদিকে, আগামীকাল সোমবার (১২ মে) এ বিষয়ে গেজেট প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম। তিনি জানান, এই সংশোধনীর মাধ্যমে এখন থেকে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত রাজনৈতিক দলসহ যেকোনো সত্তার কার্যক্রম আইনের আওতায় নিষিদ্ধ হতে পারবে।

অধ্যাদেশের প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা:

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, ‘কতিপয় সন্ত্রাসী কার্য প্রতিরোধ এবং উহাদের কার্যকর শাস্তির বিধানসহ আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান প্রণয়ন করার নিমিত্ত সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ প্রণয়ন করা হয়।’ পূর্বের আইন অনুযায়ী, যুক্তিসঙ্গত কারণের ভিত্তিতে কোনো ব্যক্তি বা সত্তা সন্ত্রাসী কার্যের সাথে জড়িত থাকলে সরকার গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা তাকে তালিকাভুক্ত বা সত্তাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা ও তালিকাভুক্ত করতে পারতো। তবে বর্তমান আইনে কোনো সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধকরণের বিষয়ে সরাসরি কোনো বিধান ছিল না।

বর্ণিত প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাসবিরোধী আইন সংশোধন করে সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, প্রয়োজনীয় অভিযোজন করা এবং অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার নিষিদ্ধকরণের বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আগামীকাল সংশোধনীটি অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হতে পারে।

এই অধ্যাদেশ জারির পর আওয়ামী লীগের সকল প্রকার সাংগঠনিক ও প্রচারণামূলক কার্যক্রম আইনত নিষিদ্ধ বলে গণ্য হবে।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker