আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক উদ্দেশে দেশ ত্যাগ করেছেন। তার এই দেশত্যাগের পরপরই বিক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে, যেখানে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, থাই এয়ারওয়েজের TG340 ফ্লাইটে করে ঢাকা ছাড়েন আবদুল হামিদ। এর আগে রাত ১১টার দিকে তিনি বিমানবন্দরে পৌঁছান এবং ইমিগ্রেশনের যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষে দেশ ছাড়েন।
সাবেক এই রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে হত্যা মামলার অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও দেশের বাইরে চলে যাওয়ায় সামাজিক মাধ্যমে প্রশ্ন উঠেছে—‘কীভাবে তিনি অবাধে দেশ ছাড়লেন?’
এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ। বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন গণ অধিকার পরিষদের শীর্ষ নেতারাও। তাদের দাবি,
- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ
- আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থতার তদন্ত
- যাদের মদদে তিনি দেশ ছাড়লেন, তাদের চিহ্নিত করে বিচার
পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আবদুল হামিদের দেশত্যাগে আদালতের কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল না, এবং কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আপত্তিও ওঠেনি। ফলে তাকে আটকে রাখার সুযোগ ছিল না বলেও দাবি করা হয়।
৯ মাস আগে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এটাই প্রথম কোনো শীর্ষ নেতা দেশ ছাড়লেন। মামলার আসামি হিসেবে থাকা সত্ত্বেও তার বিদেশ যাত্রা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।