অম্বালায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। কৃষক সংগঠন সংযুক্ত কিসান মোর্চার (অরাজনৈতিক) ডাকে সাড়া দিয়ে হরিয়ানার অম্বালায় শুক্রবার জড়ো হন কৃষকেরা। সেখান থেকেই দুপুর ১টায় দিল্লির উদ্দেশে হেঁটে মিছিল করে রওনা দেন তাঁরা। কিন্তু শম্ভু সীমানায় পৌঁছতেই তাঁদের আটকে দেওয়া হয়।
হরিয়ানার শম্ভু সীমানায় আটকে দেওয়া হল কৃষক সংগঠনের মিছিল। পুলিশ জানিয়ে দেয় আর এগোতে দেওয়া যাবে না। তার পর কৃষকেরা পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করতেই উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটাতে হয়েছে। এই ঘটনায় ছ’জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বেশ কয়েক জন কৃষককে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, কৃষকদের আর এগোনোর অনুমতি নেই। অশান্তির আশঙ্কায় হরিয়ানার অম্বালায় ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার (বিএনএসএস) ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে। ফলে একসঙ্গে পাঁচ জনের বেশি জমায়েত করতে পারবেন না। কৃষকদের এই অভিযান আটকাতে তৎপর পুলিশও। ইতিমধ্যেই ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়ক বহুস্তরীয় নিরাপত্তাবলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে। ব্যারিকেড দিয়ে আটকানো হয়েছে জাতীয় সড়ক।
ফসলের জন্য ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণে আইনি নিশ্চয়তার দাবি তুলেছেন কৃষকরা। সেইসাথে ঋণ মওকুফ, কৃষক এবং তাদের শ্রমিকদের জন্য পেনশন সুবিধারও দাবি তাদের। এ ছাড়া ২০২১ সালের সহিংসতার শিকার কৃষকদের ন্যায়বিচার নিশ্চিতেরও দাবি জানিয়েছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা।
এর আগে গত সোমবার উত্তর প্রদেশের কৃষকেরা দিল্লির দিকে পদযাত্রা করার চেষ্টা করেন। যদিও তাদের নয়ডাতেই থামিয়ে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে দিল্লি লাগোয়া পঞ্জাব এবং হরিয়ানার সীমানায় অবস্থান করছেন কৃষকদের একাংশ।