তলানিতে নেমেছে ভারতে বাংলাদেশি পর্যটকের সংখ্যা। এর প্রভাব পড়ে দেশটির অর্থনীতিতে। দেশটির কলকাতা শহরের ব্যবসা অর্ধেকে নেমেছে। পর্যটকশূন্য কলকাতার নিউমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, করোনার পর এতো ভয়াবহ চিত্র দেখেননি তারা।
জানা গেছে, চলতি বছর প্রতিবেশী দুই দেশের জাতীয় নির্বাচনের সময় ভিসানীতিতে কিছুটা কড়াকড়ি আরোপ করে ভারত। তখন থেকেই কমতে শুরু করে বাংলাদেশি পর্যটকের সংখ্যা। এ ছাড়া বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর ভিসা কার্যক্রম সীমিত করে ভারত। এতেই তলানিতে নেমে যায় বাংলাদেশি পর্যটকের সংখ্যা।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩ সালে ভারতে আগের বছরগুলোর তুলনায় ৪৮ শতাংশ হারে বেড়েছিল বাংলাদেশি পর্যটকের সংখ্যা। এতে পর্যটক নির্ভর অর্থনীতিও ফুলে-ফেঁপে উঠতে শুরু করে। তবে চলতি বছর ভারতের ভিসা কার্যক্রম সীমিত করায় দেশটির বাণিজ্যে রীতিমত ভাটা পড়েছে। খাবার দোকান, শপিংমল, রাস্তাঘাট কার্যত ফাঁকা হয়ে গেছে পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার নিউমার্কেট এলাকায়। শুধু মাত্র বাংলাদেশি পর্যটকদের আসা-যাওয়াকে ঘিরে এখান থেকেই বছরে কয়েক হাজার কোটির বাণিজ্য হয় ভারতের। রেল, হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও মানি চেঞ্জারসহ সব ব্যবসাতেই এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশের প্রতি ১০০ জন পর্যটকের মধ্যে প্রতিবেশী ভারতে আসতে চান ৫০ থেকে ৫৫ জন পর্যটক। অল্প খরচে ভ্রমণ, কিছুটা উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং আত্মীয়-স্বজন বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করা এই আগ্রহের অন্যতম কারণ।
এই মুহূর্তে বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় আসা পর্যটকরা বলছেন, খুব প্রয়োজনে, বিশেষ করে চিকিৎসার জন্য তাদের ভারতে আসতে হচ্ছে। নতুন ভিসা না পাওয়ায় আগের ভিসাতেই তাদেরকে আসতে হয়েছে। পরিস্থিতি দ্রুতই স্বাভাবিক হওয়ার আশা তাদের।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts sent to your email.