নারী আন্দোলনকর্মীরা তালেবান শাসকদের হাতে গ্রেফতার বা আটক হওয়ার হুমকির মধ্যে আফগানিস্তানে মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন করেছে।
১৫ আগস্ট ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে তালেবানরা দেশের নারীদেরকে দুই দশকের অর্জন থেকে বঞ্চিত করেছে, নারীদের সরকারি চাকরি থেকে সরিয়ে দিয়েছে, তাদের একাকী ভ্রমণ নিষিদ্ধ করেছে এবং তাদেরকে কোরানের কঠোর ব্যাখ্যা অনুসারে পোশাক পরার নির্দেশ দিয়েছে। খবর এএফপি’র।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে উইমেনস ইউনিটি অ্যান্ড সলিডারিটি গ্রুপের একজন কর্মী বলেন, `তালেবানরা আমাদের কাছ থেকে আকাশ এবং মাটি কেড়ে নিয়েছে।’
তালেবানরা দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৬-২০০১ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় থাকার সময় অনুসৃত কঠোর ইসলামি শাসন নমনীয় করার প্রতিশ্রুতি দিলেও বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। জাতীয় স্তরে না হলেও আঞ্চলিক কর্মকর্তাদের ইচ্ছায় স্থানীয়ভাবে এসব বিধিনিষেধ প্রয়োগ করা হচ্ছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এর হিদার বার বলেন, আপনি যদি বিশ্বের যে কোনো স্থানের নারী অধিকার নিয়ে ভাবেন তাহলে আপনার অবশ্যই আফগানিস্তান পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা উচিত।
তিনি মঙ্গলবার এএফপিকে বলেন, `গত ২০ বছরের অগ্রগতি কত দ্রুত পিছিয়ে গেছে এবং আফগান নারীদের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কতটা কম কাজ করেছে তা দেখে খুবই অবাক লাগছে।’
কিছু আফগান নারী প্রথমদিকে তালেবানের বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে শিক্ষা ও কাজের অধিকার দাবি করেছে। তালেবানরা এসব আন্দোলনকারীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নেতাকে আটক করলেও তাদের আটক করার কথা অস্বীকার করেছে।
মুক্তি লাভের পর তাদের বেশিরভাগই নীরব হয়ে যান। তালেবানরা কিছু ভিডিও প্রকাশ করেছে যাতে আন্দোলনকারীরা স্বীকারোক্তি দিয়েছে যে, বিদেশী আন্দোলনকর্মীদের দ্বারা তারা উৎসাহিত হয়েছিল যাতে তারা রাজনৈতিক আশ্রয় পেতে পারে।
বেশ কয়েকটি অধিকার গোষ্ঠী বলেছে যে, কথিত স্বীকারোক্তি দিতে তাদেরকে বাধ্য করা হয়েছিল। এগুলোকে `জিম্মি ভিডিও’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। তবে তালেবান অন্ততপক্ষে আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে স্বীকৃতি দিয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টিকে ‘মঙ্গলজনক’ বলে অভিহিত করেছে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts sent to your email.