বিমান দুর্ঘটনা থেকে অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরপ্রদেশ থেকে বাংলায় ফেরার পথে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি গোলযোগের কবলে পড়ে। কীভাবে ঘটল এমন ঘটনা, তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
তবে এটাই নতুন নয়। ২০১৬ সালেও পাটনা থেকে ফেরার পথে বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়েন মমতা। এদিন স্থানীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন আচমকা যদি কোনও বিমান তিন থেকে চার হাজার ফুট নেমে যায়, তা খুব বড় ধাক্কা। ঠিক এমন ঘটনাই ঘটেছিল এদিন। আচমকাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিমান হু হু করে নেমে আসতে থাকে।
কুণাল ঘোষ এদিন আরও বলেন শুধু নীচে নেমে যাওয়াই নয়, ডান দিক ও বাঁদিকে ভয়াবহ রকম ভাবে হেলতে শুরু করে ওই বিমান, যা কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা জনিত ইস্যুতে বড়সড় প্রশ্ন। গোটা বিষয়টি উদ্বেগের বলে জানিয়েছেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন তাহলে কি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলে কাছে এই বিষয়ে কোনও তথ্য ছিল না।
এ ঘটনায় কোমরে বেশ ব্যথা পান মুখ্যমন্ত্রী মমতা। আগে থেকেই তার কোমরে ব্যথা থাকায় বেশি সমস্যায় পড়েন।
আনন্দবাজার ডিজিটাল জানিয়েছে, রাজ্য সরকারের ভাড়া করা ফ্যালকন বিমানে সম্প্রতি বিভিন্ন প্রয়োজনে যাতায়াত করেন মমতা ব্যানার্জী। তবে এদিন যে বিমানটিতে তিনি চড়েছিলেন নির্দিষ্টভাবে সেই বিমানটিতে তিনি এর আগে সফর করেননি। ঘটনাচক্রে বিমানের দুই পাইলট ছিলেন বাবা ও মেয়ে। দুর্যোগ কেটে যাওয়ার মিনিট চারেক পরে মুখ্যমন্ত্রীর বিমানটি কলকাতার মাটি স্পর্শ করে।
বিমানবন্দর সূত্র জানিয়েছে, বিমানটি আচমকা বিপদের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে দেখে পাইলট দ্রুত উচ্চতা প্রায় পাঁচ হাজার ফুট নামিয়ে দেন। তাতেই প্রবল ঝাঁকুনি ও ওলটপালট অবস্থা। বিমানের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী ও তার সহযাত্রীরা অবশ্য জানতে পারেন, তাদের বিমানের সামনে অন্য একটি বড় বিমান এসে পড়ে। এটিই বিপত্তির কারণ।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts sent to your email.