করোনাভাইরাস সংক্রমণ কমে যাওয়া অব্যাহত রয়েছে ভারতের দিল্লিতে। সে কারণে আজ সোমবার থেকে সেখানে করোনার সব ধরনের বিধিনিষেধ তুলে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ভারত সরকার জোর দিয়েছিল, মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং হাত ধোয়াসহ সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি সবসময় অনুসরণ করার ব্যাপারে। করোনাভাইরাসের অত্যন্ত সংক্রামক ধরন ওমিক্রনের ধাক্কা শুরু হওয়ার পর গত বছরের ডিসেম্বরে ভারত তৃতীয় তরঙ্গে পড়েছিল।
ওই সময়ই বিধিনিষেধগুলো আরোপ করা হয়েছিল।
দিল্লি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (ডিডিএমএ) জানিয়েছে, রাতের কারফিউ বাতিল করা হয়েছে, রেস্তোরাঁ, সিনেমা থিয়েটার এবং বারগুলোতে ৫০ শতাংশ আসন ফাঁকা রাখতে হবে না এবং ১ এপ্রিল থেকে স্কুলগুলোর জন্য কোনো অনলাইন ক্লাস থাকবে না।
সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, মাস্ক না পরলে দুই হাজার রুপি জরিমানার যে বিধান রয়েছে, সেটা ৫০০ রুপিতে নামানো হয়েছে। গত শুক্রবার ডিডিএমএ-তে লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজাল এবং মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের উপস্থিতিতে বৈঠকের পর এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়।
লে: গভর্নর অনিল বৈজাল ওই বৈঠকের পর টুইট করে বলেছেন, ‘বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বিশদ আলোচনার পরে করোনা সংক্রমণ এবং হাসপাতালে ভর্তির ঘটনা হ্রাসের পরিপ্রেক্ষিতে আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি সোমবার থেকে নয়াদিল্লিতে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ করোনা সংক্রান্ত বিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি মহামারি মোকাবেলায় কর্মকর্তাদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করে বলেন, সংস্থাগুলোকে সতর্কতা কমানো যাবে না। টিকা পাওয়ার যোগ্য ব্যক্তিদের সম্পূর্ণ ডোজ টিকা দেওয়ার লক্ষ্যে একটি বৃহত্তর প্রচারণার ওপরও জোর দেওয়া হয়।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রশাসন শনিবার জানিয়েছে, দিল্লির রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়িতে থাকলে মাস্ক পরতে হবে না। এমনকি গাড়িতে একাধিক ব্যক্তি থাকলেও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক হবে না।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts sent to your email.