১৪ বছরের অভিনয়ের ক্যারিয়ার রোবেনা রেজার। যাকে সবাই চেনেন জুঁই নামেই। সম্প্রতি একটি ওটিটি প্ল্যাটফরমে ‘আধুনিক বাংলা হোটেল সিরিজে’ অভিনয় করেছেন। নিয়মিত অভিনয়সহ বিভিন্ন প্রসঙ্গে কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী।
ওটিটি কনটেন্টে কি প্রথম অভিনয় করলেন?
না। এর আগে ‘দৌড়’ নামের একটা ওয়েব ফিল্মে অভিনয় করেছিলাম। সেটা কয়েক বছর আগে। আরো একটার কথা চলছে।এ মাসেই শুটিং করব।
আধুনিক বাংলা হোটেল সিরিজে, খাসির পায়া রান্না করলেন আপনি। বাসায় কি এই পদ রান্না করা হয়?
(হাসি) আমি গরুর পায়া ভালো রান্না করতে পারি। সেটা বাসার সবাই খুব পছন্দ করেন।খাসির পায়া সেভাবে ট্রাই করা হয়নি।
সিরিজে দেখলাম আপনার স্বামী জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম খুব খাসির পায়া পছন্দ করেন।
হ্যাঁ। ও পায়া খেতে খুব পছন্দ করে। যেকোনো রেস্টুরেন্টে সকালে নাশতা করতে গেলে পায়া অর্ডার করে।বাসাতেও খায়। বেশ মজা করে খায়।
আপনার অভিনয়ের এক যুগ পার হলো। এর মধ্যে নাটক ও ওটিতে কাজ করেছেন। দুটোর কাজের ধরন নিয়ে কোনো পার্থক্য চোখে পড়েছে?
তার আগে বলে নিই, এক যুগ না, তারও বেশি। প্রায় ১৪ বছর। আর নাটক ও ওটিটির কাজের তো একটা পার্থক্য আছেই। সেটা গল্প বলা থেকে শুরু করে কাজের প্রসেস সব কিছুতে। যেমন নাটকের বেলায় দ্রুত কাজ শেষ করার একটা তোড়জোড় থাকে। সেভাবে প্রি- প্রডাকশন বা মহড়া করা হয় না। কিন্তু ওটিটির বেলার সেটা হয়। সব কিছুই পরিকল্পনামতো সময় নিয়ে ঠিকঠাকভাবে করা হয়।
১৪ বছর আগে যে লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন সেটা কি পূরণ হয়েছে?
দেখেন, ১৪ বছর আগে আমার প্রথম নাটক ছিল ‘সিমিলার টু’। ওই সময় কিন্তু আমি কোনো লক্ষ্য নিয়ে অভিনয় শুরু করিনি। অনেকটা শখের বশেই করা। আর আমি কিন্তু থিয়েটার থেকেও আসিনি। তাই আমার অনেক ভুল ছিল। হয়তো ঠিকঠাক করতে পারিনি। আস্তে আস্তে শিখেছি। এখনো শিখছি। আর শিল্পীদের কিন্তু ক্ষুধার শেষ নাই। ভালো কাজের ক্ষুধা সব সময়ই আছে ও থাকবে। তাই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে, এটা বলা যাবে না।
এই ১৪ বছরে আপনি কখনো মোশাররফ করিমের বিপরীতে, কখনো অন্য কারো বিপরীতে অভিনয় করেছেন। কার সঙ্গে অভিনয় করলে বেশি সাড়া পান?
অবশ্যই মোশাররফ করিমের বিপরীতে। তার তো বড় দর্শক শ্রেণি আছেই। তারা বেশি দেখেন। আর আমার ক্যারিয়ারে ৯০ ভাগ অভিনয়ই মোশাররফের সঙ্গে। স্বাভাবিকভাবে ওর সঙ্গে কাজ করলেই বেশি সাড়া পাওয়া যায়।
কিন্তু তার সঙ্গে আপনার অভিনয় নিয়ে সমালোচনাও তো হয়। তার স্ত্রী বলে এই সুযোগটা আপনার জন্য সহজ হয়ে গেছে। এটা কি সঠিক?
সমালোচনা হয়। আমি সেসব দেখি। মানুষের মন্তব্য ও কথায় বিদ্ধ হই। স্বাভাবিকভাবে আমার খুব খারাপ লাগে। এই সমালোচনার কারণে আমি অনেকবার হতাশ হয়েছি, কান্নাকাটিও করেছি। মানুষের মন্তব্যে অসহায় বোধ করেছি। অনেক সময় মনে হয়েছে আর অভিনয় করব না। আর সুযোগের কথা বললেন, এটা পরিচালকরাই চান। অনেকেই আমাদের জুটি করে কাজ করতে চান।
এই যে বললেন কাজ করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন, পরে আবার উৎসাহ কিভাবে পান?
এটাও মোশাররফের কারণেই। ও আমাকে মোটিভেট করে। বলে, আস্তে আস্তে ভালো করবে তুমি। কাজ থেমে রাখলে তো আর সেটা প্রকাশ করা হবে না। ও আমাকে বোঝায়। কাজ করে যেতে হবে। একদিন সমালোচনাকারীরাই তোমাকে ভালোবাসবে। এবং সেটা ঘটছে। আগে যে পরিমাণ মানুষ অপছন্দ করত, এখনো অনেকেই প্রশংসা করেন। এটা আমার অর্জন।
এত কিছু ভেবে করা হয়নি। ভালো কাজ করার জন্য খোলা হয়েছে। কখনো মাসে একটা বা দুটো নাটক দিচ্ছি। ভালো গল্প পেলে সেটা নিয়েই কাজ করা হচ্ছে। এটা একেবারে প্রাইমারিভাবে চলছে।
আপনার পছন্দের কোনো চরিত্র আছে, যেটাতে অভিনয় করার ইচ্ছা আছে?
যেকোনো গোয়েন্দা গল্পে কাজ করার ইচ্ছা আছে। কোনো রহস্য উন্মোচন করা বা সেই রহস্যর কেন্দ্রবিন্দু আমাকে ঘিরে এ রকম নির্মাণ হলে আগ্রহ নিয়ে কাজ করব।
